জেলা রাজ্য

রাতের অন্ধকারে পাচার হয়ে যাচ্ছে গাড়ি গাড়ি মদ!


মাধবী ঘোষ:চিন্তন নিউজ:৩০শে এপ্রিল:- লকডাউন এর জেরে বন্ধ সমস্ত মদের দোকান ও পানশালা।সরকারের তরফে ঘোষনা করা হয়েছিল লকডাউনে মদের দোকান খোলা বা মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়া যাবে না। যদিও আগের ঘোষনা মদ বিক্রির সপক্ষে ছিল, পরে এই সিদ্ধান্ত জনগণের বিদ্রোহের চাপেই নিতে হয়েছে বলে অনেকের মত।
গত সোমবার রাতে যা ঘটলো, তা দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। কি হয়েছিল সোমবার রাতে? রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ভাদুর গ্রামে থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজেস কর্পোরেশনের ওয়্যার হাউস থেকে ১৫ টি গাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।

বাঁকুড়া সদর থানা দু’নম্বর ব্লকে ভাদুল গ্রামে অবস্থিত আবগারি দপ্তরের গোডাউন থেকে রাতের অন্ধকারে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫ টি গাড়ি বোঝাই করে বিলিতি মদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এমনটাই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হওয়ায় মদ বোঝাই একটি গাড়ি চলে যেতে সমর্থ হলেও বাকি সাতটি বিলিতি মদ বোঝাই গাড়ি আটক করা হয়। গাড়ি গুলির প্রত্যেকটিতে বোঝায় করা ছিল নামী কোম্পানির বিলিতি মদ।

আটক করা হয় গাড়ি চালকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তাদেরকে আবগারি দফতরের তরফে লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই মদ নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা মদ সরবরাহের কোনরকম কাগজ দেখাতে পারেনি। দেশি অবৈধ মদের বাড়বাড়ন্ত যাতে না হয় সেই কারণে সরকার হোম ডেলিভারি দেওয়ার জন্য মদ সরবরাহ করছে এমনটাই দাবি করেন চালকরা। সবচেয়ে আশ্চর্যের , গাড়ি গুলি কোনটা সবজির গাড়ি কোনোটা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কোনোটা মেডিসিন দ্রব্য সামগ্রী পরিবহন করা হয় বলে পোস্টার লাগানো আছে,অথচ তাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মদ, আর এখানেই দানা বাঁধছে সন্দেহ।

লকডাউনে যেখানে মদ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ,সেখানে এত বিপুল পরিমাণে মদ কোথায় যাচ্ছিল? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
খতিয়ে দেখা হচ্ছে গাড়ি গুলির কাগজপত্র। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। যদিও চালকদের দাবি আবগারি দফতরের বৈধ অনুমতি নিয়ে তারা মদ পরিবহন করছিলেন।

গাড়ি গুলি আটক করে স্থানীয় লোকজন বাঁকুড়া সদর থানায় খবর দেন। পরে সদর থানার পুলিশ, চালকসহ সাতটি বিলিতি মদ বোঝাই গাড়ি আটক করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ,বাড়তি মুনাফা লাভের জন্য রাতের অন্ধকারে যোগসাজশ করে পাচার হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ।সরকারি বিধিনিষেধ ও সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মনে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।