দেশ

বামপন্থা দেশে দেশে (৭)


রঘুনাথ ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:১৪ই নভেম্বর:–বিগত চার বছরে স্পেনএই নিয়ে চতুর্থ বার নির্বাচন গেল। সর্বশেষ গত রবিবার (১০/১১)যে নির্বাচন হয়েছে তাতে বামপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্লামেন্টে আরও বিভাজন দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন বামপন্থী সমাজবাদী পার্টি পেড্রো সানচেজের নেতৃত্বে পেয়েছে ১২০ আসন যা নিরঙ্কুশ নয়। অতিবাম পেডেমো পার্টি পাবলো ইগলেসিয়াসের নেতৃত্বে তাদের
১০ আসনসংখ্যা বাড়িয়ে পেয়েছে ৩৫টি আসন।

অতি দ্রুত দুই বামপন্থী দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন করবে। সানচেজ বলেন’ দেশ একটি স্থিতিশীল সরকার চায়। ‘ ইগলেসিয়াস তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘ আমরা একটি প্রগতিশীল সরকার গঠন করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’দুই দলের সমর্থকরা তাদের সমর্থন দিতে গিয়ে জানিয়েছে যে, বামপন্থী সমাজবাদী পার্টি(POSE) তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং পেডেমো দল তাদের সাহসী অবস্থান নিয়ে দেশে একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করতে পারবে।

উল্লেখযোগ্য যে, দক্ষিণপন্থী দল সিউদাদানোস্ ১০টি আসন পেয়েছে, আর অপর বামপন্থী দল পেয়েছে ৩টি আসন।৩৫০ আসনের সংসদে বিচ্ছিন্নতাবাদী ইআরসি ( ইসকুয়েরা রিপাবলিকানা ডিসেম্বরে কাটালুনিয়া) ১৩টি আসন নিয়ে কোয়ালিশনে যোগাযোগ দিতে যে সর্ত রেখেছে যে কাটালানের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে স্পেন এখন সক্রিয় ভূমিকা নিক। তা এখন সানচেজ ও ইগ্লেসিয়াসের দলের বিবেচনাধীন। আপাতত উক্ত দুটি দলের নেতৃবৃন্দ ১৫৫টি
আসন নিয়ে পার্লিয়ামেন্টের সম্মুখীন হতে আগ্রহী। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে , এই কোয়ালিশনের প্রতি অন্যান্য ছোট ছোট বামপন্থী বা মধ্যপন্থী দল পুরোপুরি নির্ভর করতে পারছে না। কারণ, এর আগে এপ্রিলের নির্বাচনে এই দুই দলের যৌথ উদ্যোগ সফল হয় নি । পোডেমোর দাবি ছিল রাষ্ট্র পরিচালিত ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার কোনো মতে প্রাইভেটাইজেশন করা চলবে না। এই ইস্যুতে তখন দু’দলেে কোয়ালিশনের ভেঙে যায়।এখন দেখার বিষয়, তারা কোনো মীমাংসায় পৌঁছে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে পারে কি না।

বলিভিয়ায় নতুন মোড়

বলিভিয়ায় ইভো মোরালেস মেক্সিকোতে কুটনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। মেক্সিকো সরকার তাদের রাষ্ট্রীয় বিমানবাহিনীর বিমানে তাঁকে মেক্সিকোতে যাবার ব্যবস্থা করে দেন। উল্লেখযোগ্য যে,ইউএসএ রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন , কারণ তাঁর মতে এই ব্যবস্থা বলিভিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। অবশ্য, তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে এখন সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে সময় লাগবে।লক্ষ্যনীয় যে, মোরালেস তাঁর সমর্থকদের কী বার্তা পাঠান !

মেক্সিকো তার এই সিদ্ধান্ত আমেরিকান সংগঠন ও বিশ্বসঙ্স্থাকে জানিয়ে দিয়েছে। পেরু ও আর্জেন্টিনা
দ্রুত মেক্সিকোর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বার্তা
দিয়েছে। তবে, মোরালেসের এই দেশত্যাগ আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ব্রাজিল সহ অপর দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্রগুলির আভ্যন্তরীণ রাজনীতির উপর প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

সর্বশেষ সংবাদ অনুযায়ী মোরালেস ইতিমধ্যে মেক্সিকোতে পৌঁছে গেছেন এবং নিরাপদেই আছেন।সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে যে, মোরালেস এক ঘোষণায় বলেন যে, তিনি পুনরায় দেশে ফিরে এসে বামপন্থার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করবেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।