সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১৪ই নভেম্বর:–ভয়ঙ্কর স্পাইওয়্যার!!!!!!!…….. একটি কল। তাতেই তছনছ হয়ে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ এর সুরক্ষা বলয়।।। গ্রুপ হোক বা ব্যাক্তিগত চ্যাট_যাবতীয় ছবি, ভিডিও,চ্যাট, রেকর্ড সহ জরুরী নথী এক মূহুুর্তে পৌঁছে যাচ্ছে হ্যাকারদের হাতে।। তথ্য হাতানোর এই চেষ্টার জন্য ইজরায়েলি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা। এস এন ও -র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।। অভিযোগ উঠেছে এই স্পাইওয়্যার গোপনে আড়ি পেতে চলেছে বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী, সাংবাদিক, আইনজীবী , মানবাধিকার কর্মী, সমাজকর্মী দের ব্যাক্তিগত মোবাইল সেটে।। শুধু ভারতেই নয় এই নজরদারি সফটওয়্যার মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে।।
তথ্য বলছে অন্তত কুড়িটি দেশের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের তথ্য ইতোমধ্যে হ্যাকারদের হাতে পৌঁছে গেছে।।। আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার চারশো জন।। “পেগাসাস”স্পাই ওয়্যার নির্মাতা একটি ইজরায়েলি সংস্থা।২০১০ সালে নিভ কার্মী ও ওমরি ল্যাভি এবং শালেভ হুলিও এই সংস্থা তৈরি করে । এই এন এস ও গ্রুপের দাবি তারা সরকারের অধীনস্থ সাইবার ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ যারা সারা বিশ্বজুড়ে যে সন্ত্রাস ও অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করে।। যদিও তাদের দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে “”ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার””ও””সিটিজেন ল্যাব””।।
বলা হচ্ছে সাইবার ক্রাইম রোখার বদলে এস এন ও গ্রুপ এর বানানো সফটওয়্যার ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য লোপাট করে দিচ্ছে।। বিশ্বের অনেক মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিক হত্যার পিছনে এই গ্রুপের যোগসূত্র ছিল।। ভারতের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের উপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপকে কাজে লাগানো হয়েছিল এ বছরের গোড়ার দিকে।। অভিযোগের তীর সেই “পেগাসাস” এর দিকে।।
“”পেগাসাস” ভয়ঙ্কর কেন??? কোন ব্যাক্তি র উপর নজরদারি করে ফোনের মাধ্যমে স্পাইওয়ার স্পাইঙ করে।। পেগাসাস একটি লিংক পাঠায়যদি সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ওই লিঙ্ক কে ক্লিক করে তাহলে তার ফোন এ নজরদারি চালানো জন্য প্রয়োজনীয় কোড ইনস্টল হয়ে যাবে।। একবার পেগাসাস ইনস্টল হয়ে গেলে ওই ব্যাক্তির ফোন এর পুরো নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় চরেরা।ওই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য কনট্যাক্ট লিস্ট, ক্যালেন্ডার, টেক্সট ম্যাসেজ,লাইভ ভয়েসকল সহ সমস্ত তথ্য এর নাগাল পেয়ে যায় পেগাসাস অপারেটর।।।
এছাড়া ওই সব তথ্য তারা রেকর্ডিং করতে পারে।। এদের এই কাজকর্ম প্রথম নজরে আসে ২০১৬ সালে।আজ অবধি প্রায় ১৪০০ জন এদের নজরদারির শিকার হয়েছেন। এদের সব কাজ কর্ম বা দুষ্কর্ম ঘটে মোবাইল ফোন ইউজারদের অগোচরে।।।।