দেশ

কল্পনায়ক নিয়েই ব্যস্ত,সরকার। বিনীত’ রা সেই গভীর অন্ধকারে-।


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৪ই নভেম্বর:- মন্দির বানাও , মসজিদ বানাও যো চাহে করো।। হামলোগোকা কোই মতলব নেহি। শুধু আমার ঘরটা বানাতে দিক,ক্ষোভের সাথে বললেন রামকেবল মৌর্য। তার বাড়ির তিনদিকের জমি লোহার গারদে ঘেরা অধিগৃহীত এলাকায়। সর্বক্ষণ নজরদারি চলছে এই ত্রিশ বত্রিশ টা ঘরের উপর। সীমান্তে যেমন থাকে লোহার রেলিং আর কাঁটা তারের শক্ত বেড়ার ওইপারে ইনসাসধারীরা।। ওয়াচ টাওয়ার,বালির বস্তার গার্ডওয়াল আড়ালে সদাসতর্ক।। যেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নড়াচড়ার উপায় নেই কারো। শুধু অবাধ লাফালাফি বানর সেনার।

অযোধ্যার অন্যান্য জায়গার থেকে এই অঞ্চলে বানরের উৎপাত খুব বেশি।। এখানে রেলিং এর কারণে জীবন অতিষ্ঠ অধিবাসীদের। এদের অধিকাংশই মৌর্য। এরা অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া অংশ।। তাছাড়া এখানে আছে কয়েক ঘর দলিত আর কিছু মুসলমান। অনেক ঘর শতাব্দী প্রাচীন।। ঘরের ছাদ,দেওয়াল ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।। তার মধ্যে শিশু, বুড়ো, বাচ্চা নিয়ে জীবন বাজি রেখে বাঁচতে হয়।।

পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য বিতর্কিত জমির উপর থাক তোমরা এখানে কিছু বানাতে পারবে না।। সমস্যা না মিটলে কিছু করতে পারবে না।। আগে সমস্যা মিটুক তার পর যা হয় দেখা যাবে। বললেন রামকেবল। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা এসেছিল বাড়ি বানানোর জন্য।। সেই টাকা দিয়ে ইট, সিমেন্ট কেনাকাটা হয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্য পুলিশ চলে এলো বাড়িতে বলল পারমিশন না নিয়ে এলে এখানে কিছু বানাতে দেওয়া যাবে না।তারা সকল এর কাছে গিয়েও অনুমতি মেলেনি।। টাকা খরচ করে ইট,বালি , সিমেন্ট কেনাকাটা করা হয়েছে কিন্তু আদৌ ঘর বানানো হয়নি।। ধার করা টাকা ফেরত দিতে হবে লোকের কাছে ধারদেনা করে সেই টাকা ফেরত দিতে হয়েছে।। দুটো ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে একটি ঘরের মধ্যে মাথা গুঁজে কোনো রকমে থাকা।।

জীবন শেষ করে দিল এই মন্দির_ মসজিদ করে করে।। ছোট মসজিদ টার পাশে একটা খন্ডহর আছে।।”””একটি মুসলিম পরিবার ছিল তারা চলে গেছে ফৈজাবাদ।। ওদের ঘর ছিল এটা”””…..অষ্টপ্রহর নজরদারি চলছে তাদের উপর আর এই নিয়ে ভীষণ বিরক্ত হয়ে আছে রিজ ওয়ানার রা । যখন তখন পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। উঠোনে বারান্দায় বসে থাকছে।। জীবন এর উপর ঘেন্না ধরে যাচ্ছে জানালেন রিজাওনুর।।। বুড়ো রামানন্দের দাবি অনেক হলো এবারে জমি ফেরত দিক সরকার। রামানন্দের ১১ একর জমি রয়েছে ওই ঘেরাটোপে র মধ্যে। বলেছেন””ওই জমিতে কুমড়ো, বেগুন,কপি চাষ হতো।। অন্যের জমি তেও চাষ করা হতো। সেই জমির পাট্টা বাতিল করল সরকার। কিন্তু নিজের জমির মালিকানা ছিল সবসব কিছু চলে গেল। একদিন এ ভিখিরি সেই অবস্থা থেকে ৩০ বছর এও মুক্তি পেল না ওখানকার মানুষ গুলো।। আদালত দিয়েছে মন্দির ওয়ালা দের।।। বাকি কিছু বলতে পারে নি। তাদের দাবি অনেক হলো এবারে তাদের জমি ফেরত দিক।।

মন্দিরমসজিদ নিয়ে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি নেতারা।।১৯৯৮ সালে মুলায়ম সরকার ৪২:০৯ একর জমি অধিগ্রহণ করে।। মসজিদ ধ্বংসের পর নরসিমমা রাও এর কেন্দ্রীয় সরকার এই জায়গার দখল নেয়।। এরমধ্যে ঘরবাড়ি, দোকান, মন্দির মঠ এর জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়।। যে যার মত মতো সরে পড়ে এই অঞ্চল থেকে___যায়নি শুধু এই মৌর্য পরিবার গুলো।। মুলায়ম এর পরে আসে কল্যাণ সিং এর বিজেপি সরকার।। ক্ষতিপূরণ টাকা দিতে গেছিল কিন্তু তাদের মনে হয়েছে তাদের অনেক কম টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা প্রত্যাখ্যান করে।। তাদের দাবি এখন কার দামে জমির দাম দিতে হবে।।আইনি লড়াই এর দাবি সামলান বিনীত মৌর্য। বয়স প্রায় ৫০…. ন্যায় পাওনার দাবি তে লড়াই টা একেবারেই সহজ নয়।।।

অযোধ্যার ধর্মগুরুরা কম হেনস্থা করেনি এই “”পিছড়ে মৌর্য”””দের। তাদের অমুলক ধারণা এরা রাম মন্দির তৈরি যে বাঁধা দেওয়ার তাল করছে। এদের উপর বিরক্ত হয়ে বিনীত বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে সাথে তার পরিবারের সদস্যরা।৩০ বছর ধরে ফৈজাবাদ আদালত দিন দিয়ে যাচ্ছে।।আজ অবধি জমির ক্ষতিপূরণ এর শুনানি অবধি করল না।টানা ৬০ দিন শুনানি করে কাল্পনিক দেবতা জমি পেল।একেই বলে ব্রম্ভ সত্য জগৎ মিথ্যা।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।