দেশ রাজনৈতিক

সাম্রাজ্যবাদী , ডোলান্ড ট্যাম্পের ভারতসফর ও দেশের অর্থনীতির ওপর অকারণে বোঝা।


মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ:২৫শে ফেব্রুয়ারি:–বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের আঘাতও।সবাই ভালো থাকতে চায়। মানুষ ভয় পাই, তাই এসব ব্যাপারে কিছু বলতে চায়না। কিন্তু সত্যিই জনগণ ভালো আছেন? গণতান্ত্রিক দেশে বাস করে বাকস্বাধীনতা নেই। তবে গণতন্ত্র কোথায়??

প্রসঙ্গত গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এদেশে এসেছেন। বিদেশের যেকোনো পলিটিক্যাল ব্যক্তিত্ব এই দেশে সফরে আসতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য জনগণের দেওয়া রাজস্ব থেকে এতো খরচ করতে হবে কেন এ প্রশ্ন মানুষের মাথায় আসবে না? দেশে তো রাজতন্ত্র নেই যে রাজা যা খুশি করতে পারে!!কিছু দিন আগে নির্মলা সীতারামণ যে বাজেট পেশ করেছেন তার চিত্র ভয়াবহ। অথচ সেদিকে কোন নজর নেই।

আমেরিকা অস্ত্র বেঁচে ও মেধা কিনে আজ উন্নত দেশের তালিকায়। প্রযুক্তির উন্নতি ঘটানোর দিকে নজর না দিয়ে পাকিস্তান ইস্যুতে আমাদের শাসকশ্রেণী অস্ত্র কিনেই যায় তাতে যতটা না শক্তিধর হই, তার চেয়ে আমেরিকার লাভ অনেক বেশী। অথচ ভারতবর্ষ পারে প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে স্বাবলম্বী হতে। ভারতের সে চেষ্টা নেই ।।

সদ্য স্বাধীন হয়ে জওহরলাল নেহেরু পেরেছিলেন আমেরিকার নতি স্বীকার না করে জোটনিরপেক্ষ নীতির মাধ্যমে ভারতকে বিশ্বের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে। কিন্তু পরবর্তীতে শাসক সে নীতি থেকে সরে আসে।আমেরিকার দাসত্ব স্বীকার করে।বর্তমান শাসক আমেরিকাকে সুযোগ করে দিচ্ছে ভারতবর্ষকে মৃগয়াক্ষেত্র বানানোর। এই দেশের মাটি জল, খনি, বনভূমি বিক্রি করে দিচ্ছে। বর্তমানে সরকার সেই কাজ খুব যোগ্যতার সঙ্গে করছে।
বস্তিবাসীদের কাছে তাদের আস্তানাটুকুই সব। কেউ আসবে বলে কোনো সরকার তাদের এইভাবে তুলে দিতে পারে না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।