রাজ্য

হাসি উধাও জঙ্গলমহলের, যোগ দিচ্ছে ধর্মঘটে


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৬ জানুয়ারি: যে জঙ্গল উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছিল সেই জঙ্গল মহল আগামী ৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটে সামিল হবেন বলে জানান সাধারণ গ্রামবাসীরা। যারা সবসময় হাসিখুশি থাকে তাদের ধর্মঘটের প্রয়োজনীয়তা কি? জঙ্গল মহল বার্তা দিয়েছে ৮ই জানুয়ারির ধর্মঘট হবে সর্বাত্মক।

জঙ্গল মহল থেকে অধিবাসীদের বক্তব্য অনেক। তাদের ছেলে মেয়ে গুলো থাকে ভুখা পেটে, রুটি রুজি নেই, পঞ্চায়েত গুলোতে দেদার লুটতরাজ চলছে। জঙ্গল ও জলাভূমির অধিকার কেড়ে নিয়ে তা ফড়েদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গলের যা নিজের জিনিস আপামর কাল থেকে, সেই ভেষজ গুণ সম্পন্ন গাছ ও বাবুই ঘাসের উপর আদিবাসীদের কোনো অধিকার নেই। জঙ্গল মহল লুঠ করে ধ্বংস করে মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে।

রেশনে কিছুই পাওয়া যায় না, এদিকে জিনিস পত্রের দাম আকাশছোঁয়া। তাদের দাবি হাতে কাজ চাই। আর এই দাবি নিয়ে ঝাড়গ্রামে হলো এক বিশাল বর্ণাঢ্য মিছিল। ১২ দফা দাবিসহ জঙ্গল মহলের অধিকার, জলাভূমির অধিকার, রুক্ষ জমিতে সেচের ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও তার প্রসার করা, পানীয় জলের সঙ্কট দূর করা ইত্যাদি দাবি নিয়ে ধর্মঘটের প্রচার মিছিলে সামিল হয়েছেন তারা।

ঝাড়গ্রামের কলেজ মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে সারা শহর পরিক্রমা করে। পরিক্রমা শেষে পাঁচ মাথা মোড়ে হয় প্রচার সভা। অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা সোমনাথ ভট্টাচার্য, পুলিনবিহারী বাস্কে, সুব্রত ভট্টাচার্য ও বিকাশ ষড়ঙ্গী। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রচার মিছিলে বহু সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। গড়বেতা থেকে হুমগড় অবধি প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা। কিন্তু মানুষ কষ্ট কে কষ্ট মনে না করে গ্রাম ভেঙে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে পা মেলান।

শালবনীতেও প্রচার মিছিলে মানুষের ঢল নামে। মেদিনীপুরে শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকেও মিছিল ও প্রচার সমাবেশ হয়। ঘাটাল, দাসপুর, সবঙ, পিঙলা প্রভৃতি বহু জায়গায় আগামী ৮ ই জানুয়ারি দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল ও প্রচার প্রতিবাদ সমাবেশ হয় আর তাতে মানুষের মধ্যে কিছু না পাওয়ার আর্তি প্রকাশ পায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।