চিন্তন নিউজ:- ৭ই ডিসেম্বর:২০২০:- কাকলি চ্যাটার্জি—-“ওরা ভয় পেয়েছে।” হ্যাঁ, অন্ধকারের জীব ভয় পেয়েছে বামপন্থী দলগুলোর লাগাতার লড়াই আন্দোলনকে, ভয় পেয়েছে মানুষের শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করার জেদি মনোভাবকে। তাই ভাঙচুর করে ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সিপিআই(এম) শ্যামপুকুর ২ এরিয়া কমিটির অফিস ভাঙচুর চালালো একদল দুষ্কৃতী, রাতের অন্ধকারে। কিন্তু এভাবে বামপন্থীদের ভয় দেখানো যায় না, থামিয়ে দেওয়া যায় না। বেড়ে গেল লড়াইয়ের জেদ, জয়ী হওয়ার অদম্য চেষ্টা। আদর্শ – নীতিকে ভাঙার ক্ষমতা দুষ্কৃতীদের নেই।
কনকনে ঠান্ডায় দিল্লির রাজপথে লড়াই আন্দোলনে শতাধিক কৃষক সংগঠন।। এই আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে পথে নেমে কৃষি আইনের বিরোধিতায় বামপন্থী গণসংগঠনগুলো।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালেন, একলক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। কৃষক সংগঠনের সংগ্ৰামী তহবিলে দেওয়া হল এই এক লক্ষ টাকা।
প্রচার চলছে গোটা কলকাতা জুড়েই। আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার দেশের কৃষকদের ডাকা ভারত বনধ্ এর সমর্থনে প্রচার সিপিআই(এম) জোড়াসাঁকো ১ এরিয়া কমিটি এবং চৌরঙ্গী ২ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে অটোপ্রচার করা হল।
আগামীকাল ৫০০ টি কৃষক সংগঠনের ডাকে সাধারণ ধর্মঘটকে সমর্থন করলেন। আজ আলিপুর কোর্টে আগামীকালের(৮ ডিসেম্বর) ধর্মঘটকে সমর্থন করে আইনজীবীদের সভা, মিছিল ও পথ অবরোধ এরপর কৃষি বিলের প্রতিলিপি জ্বালানো হয় ।
সিপিআই(এম) জোড়াসাঁকো ১ এরিয়া কমিটির আহ্বানে আগামীকাল দেশব্যাপী কৃষক সংগঠনগুলোর কৃষিবিল বাতিলের দাবিতে ধর্মঘটের সমর্থনে এলাকায় এক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আগামীকাল সারাদেশে কৃষকদের আহ্বানে ধর্মঘট সমর্থন করে সিপিআই(এম) কাশীপুর-বেলগাছিয়া ১ এরিয়া কমিটি অঞ্চলে মিছিলের আয়োজন করে।
গতকাল ছিল সংবিধানপ্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের প্রয়াণ দিবস ও ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কালা দিন। এই উপলক্ষে আজ পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায়মঞ্চ ও আওয়াজ কলকাতা জেলা কমিটির যৌথ উদ্যোগে পথসভা অনুষ্ঠিত হয় ৬১ নং ওয়ার্ডে।
সংবাদদাতা দেবী দাস জানাচ্ছেন, – মোদী সরকারের কৃষক মারা কৃষি বিল তুলে নাও। রাজধানীতে জান কবুল লড়াকু কৃষকদের পাশে দাড়ানোর জন্য সি পি আই (এম ) পশ্চিম (১) এরিয়া কমটি বেহালা থানা থেকে পর্ণশ্রী পর্যন্ত মিছিল হয়।
দেবী দাস আরও জানিয়েছেন, — দিল্লির কৃষকদের ধর্মঘটের সমর্থনে সি পি আই (এম) কলকাতা পোর্ট এরিয়া কমিটি আজ ব্রেসবীজ স্টেশনে পথ সভার আয়োজন করে।
সংবাদদাতা অনুপ পাত্র জানান, – কৃষক মারা কৃষি বিল প্রত্যাহার করার দাবিতে । কৃষক সংগঠনসমূহের ডাকা আগামী কাল ৮ ই ডিসেম্বর সারা ভারত ধর্মঘটের সমর্থনে। আজ বেহালা পূর্ব (১) এরিয়ার কমিটির মিছিল ও মোদীর কূশপুতুল পোড়ানো হলো।
গৌতম প্রামানিক— আগামীকাল আমার দেশের অন্নদাতারা দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছেন আমারা যেন সমস্ত কর্মসূচি স্তব্ধ করে তাদের পাশে থাকি। কারণ– দেশের সরকার তাদের গলা টিপে ধরেছে। সংসদে কৃষি বিল তিনটে ধাপে যে অগণতান্ত্রিক ভাবে একতরফা সংসদকে এরিয়ে পাশ করিয়ে নিয়ে কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে, তার প্রতিবাদে দিল্লিতে এক দৃষ্টান্তমূলক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তা সমগ্ৰ বিশ্বের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কৃষক সমাজের একটাই দাবি ঐ কৃষক মারার আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। নাহলে দিল্লির দরজা বন্ধ করে দেবে তারা! মৃত্যু বরণের ভয় তারা পায়না। অন্নদাতা কৃষক বন্ধুদের আবেদন আগামীকাল সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করুন! এই আবেদনকে পূরণ সমর্থন জানিয়ে বামফ্রন্ট সহ ১৬ টি সহযোগী দল। সেই হেতু আজ সিপিআইএম চৌরঙ্গী ২ এরিয়া কমিটির উদ্দোগে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়ে এক পথসভা সংঘটিত করে।
এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআইএম চৌরঙ্গী ২ এরিয়া অন্যতম সদস্যা ও গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী কমরেড কাকলী চট্টোপাধ্যায়, বক্তব্য রাখেন সিপিআইএম কলকাতা জেলা সদস্য কমরেড আরশাদ আলী, সি আই টি ইউ নেতা কমরেড নিখিল মাইতি, যুবনেতা কমরেড রাজেন্দ্র প্রসাদ, যুবনেতা কমরেড চন্দন বোস, ছাত্রনেতা কমরেড অর্জুন রায়, এবং ছাত্রনেতা কমরেড দেবাঞ্জন দে, প্রত্যেকের বক্তব্য ছিল অত্যন্ত দৃপ্ত জোরালো ও তাৎপর্যপূর্ণ। সভার শেষে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়ে অবরোধ ও নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। সকলের কাছে আবেদন আগামীকাল সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করুন।