জেলা

কলকাতার অন্দরে-


চিন্তন নিউজ- ১৭ই সেপ্টেম্বর,২০২০:- -কাকলি চ্যাটার্জী— বিনামূল্যে পূজোর বাজার— চরম অসহনীয়, অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে মহামারীর আবহে,অনুভূতিহীন দিনগুজরানের রুটিনে শুরু হল শারদোৎসবের প্রস্তুতি—আজ মহালয়া। উৎসব প্রিয় বাঙালির দিন গোনার শুভ মহরত! যদিও খাতায় কলমে পূজোর দেরী এক মাসেরও বেশী। এবারের সময়টা একটু ভিন্ন ধরনের! কোথায় যেন একটা তালভঙ্গের মূর্ছনা! লকডাউনে রুটিরুজির হাহাকার, বেকারত্বের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে রোজই! কিন্তু সময় তো থেমে থাকে না। এই দুঃসময়ে প্রান্তিক মানুষগুলোর কথা মনে রেখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা আয়োজন করলেন ‘বিনামূল্যে পূজোর বাজার।’ আজ শুভ উদ্বোধন হল কলেজ স্ট্রীট ক্যাম্পাসে। উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাননীয় ডঃ পবিত্র সরকার, যিনি নিজেও এই কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী।

অক্সিজেন সিলিন্ডার অমিল, অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু, সরকারি হাসপাতালে রোগীর অক্সিজেন সরবরাহের নল ঠিক করে দেওয়ার কর্মীও মেলেনা! এই উপেক্ষিত মানুষগুলোর বাঁচার অধিকার শুধুমাত্র সংবিধানের পাতায়! তবুও এখনও হাতে গোনা কিছু মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে বলে পৃথিবীটা আজও বাসযোগ্য! মানুষের বাঁচা-মরা যাদের ভাবিয়ে তোলে, এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখা যুবক-যুবতীদের ভরসা জোগালো ঢাকুরিয়ার তরুণ মহল ক্লাব। সাধারণ মানুষের সহযোগীতায় দুঃস্থ কোভিড রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন পরিষেবা ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য শুরু হলো স্বল্পমূল্যে অক্সিজেন পরিষেবা।

সংবাদদাতা—-গৌতম প্রামাণিকের রিপোর্ট:- তখন সিপিআইএম আঞ্চলিক কমিটি অনেক বড়ো অঞ্চল নিয়ে ছিল। একটা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে ছিল আঞ্চলিক কমিটি। আজ যেটা চৌরঙ্গী বিধানসভা, তার আগে ছিল পশ্চিমবঙ্গের সবচাইতে ছোট বিধানসভা, শিয়ালদহ বিধানসভা, তারো আগে ছিল বা প্রথম নির্বাচনে ছিল “শিয়ালদহ বিদ্যাসাগর” বিধানসভা কেন্দ্র।প্রথম বিধায়ক ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম নেতা শ্রদ্ধেয় কমরেড ডাঃ নারায়ন রায়, পরবর্তী সময়ে সেখানে বিধায়ক হন বিশিষ্ট আইনজীবী শ্রদ্ধেয় কমরেড সমর রুদ্র, ততদিনে বিধানসভা ভেঙে গিয়ে হলো – বিদ্যাসাগর, শিয়ালদহ এবং একটা অংশ চলে গিয়ে তৈরি হলো বহু বাজার বিধানসভা কেন্দ্র।কমঃ লক্ষীকান্ত দে হলেন বিদ্যাসাগর কেন্দ্রের বিধায়ক। আঞ্চলিক কমিটি ভেঙে গিয়ে টুকরো টুকরো হলো কমঃ লক্ষীকান্ত দে হলেন বিদ্যাসাগর আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক। শুরু করেছিলেন শ্রদ্ধেয় কমঃ সুজিত আচার্য-র নেতৃত্বে। কিন্তু, জীবনের ছাত্র আন্দোলন বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে যুব আন্দোলনে প্রবেশ, শ্রদ্ধেয় কমঃ দেবব্রত অধিকারীর নেতৃত্বে যুব আন্দোলনের প্রবেশ। তখন নেতৃত্ব ছিলেন কমঃ নিতিন বসু, কমঃ গোপাল বসু (৭০ সালে কংগ্রেস মস্তানরা প্রকাশ্যে কলকাতা কর্পোরেশনের ৫ নং বরোর সামনে খুন হন), প্রমুখ তত্কালীন যুব নেতৃত্ব।
বিধায়ক থাকাকালীন হলেন কলকাতা জেলা কমিটি সদস্য, পরবর্তীতে সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য, রাজ্য কমিটির সদস্য হন। ইতিমধ্যেই জোনাল কমিটির প্রস্তুতি শুরু প্রথম জোনাল কমিটির সম্পাদক হলেন কমঃ লক্ষীকান্ত দে, বিশাল বড়ো জোন, লেনিন স্মরণি থেকে শ্যামবাজার, আবার সেটাও পরবর্তীতে ভেঙে হলো উত্তর-মধ্য জোন ও মানিকতলা জোন। কমঃ লক্ষীকান্ত দে হলেন মানিকতলা জোনের সম্পাদক। এরই মধ্যে বহু ঘটনা ঘটে গেছে। কিন্তু যাই ঘটনা ঘটুক প্রবল জনপ্রিয়তা কমঃ লক্ষীদাকে পূর্বতন ঐ বিশাল অঞ্চলের জননেতা হয়ে ওঠেন। এক বর্ণময় জীবন কমঃ লক্ষীকান্ত দে, সংসদীয় গণতন্ত্রের বাংলার এক বিশেষ ব্যাক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। দলবল নির্বিশেষে লক্ষীদা ছিলেন বিদ্যাসাগর বিধানসভা অঞ্চলের সফল জন প্রতিনিধি। আজ কমঃ লক্ষীকান্ত দে’র ৮১ তম জন্মদিবস। প্রয়াণের দিন পর্যন্ত ছিলেন বিধানসভায় বামফ্রন্ট-র মুখ্যসচেতক। আজ ২৭ ও ৩৮ ওয়ার্ডের বামপন্থী গণসংগঠনগুলোর উদ্যোগে কৈলাস বোস স্ট্রীট ও মদন মিত্র লেনের সংযোগস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস নেওয়া হয়।

সংবাদদাতা—জয়শ্রী দেবনন্দী জানাচ্ছেন, সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কলকাতা জেলার কর্মীরা নিরলসভাবে কোভিড মোকাবিলায় লকডাউন চলাকালীন দুঃস্থ মানুষের সাহায্যার্থে কাজ করে চলেছে। কোথাও সবজি বাজার, কোথাও নিত্যদিনের ব্যবহারের সামগ্ৰী, কোথাও বা শিশুদের পড়াশোনার উপকরণ। এ ছাড়াও সচেতনতা শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির আয়োজিত হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে। সংগঠনের এন্টালি ২ আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে শুরু হয়েছে সপ্তাহে দুদিন পাড়ায় পাড়ায় অক্সিমিটারের সাহায্যে অক্সিজেন মাপার কাজ। গতকাল জেলা সম্পাদিকা দীপু দাসের উপস্থিতিতে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হল মাস্ক, শিক্ষাসামগ্ৰী। শিশু ও শিশুদের মায়েদের অক্সিজেনের পরিমাণ পরিমাপ করা হল এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন বস্তি আন্দোলনের নেতা রউফ, অঞ্চলের মহিলা নেতৃত্ব। সভা পরিচালনা করেন রমা কর বসু।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।