জেলা

আজকের হুগলি জেলার সংবাদ–


চৈতালি নন্দী:- চিন্তন নিউজ: ১৭ সেপ্টেম্বর,২০২০:- মাত্র ৫০০ টাকা বেতনের অভাবে স্তব্ধ হয়ে গেছে চন্দননগরের ২৫০ বছরের ইতিহাস,  ফরাসি ঐতিহ্য সম্পন্ন সে আমলের ঘড়িটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘ ৬ মাস। সুশান্ত নামক একজন মেকানিক যে এই ঘড়িটির নাড়ি নক্ষত্র জানে, শুধুমাত্র এই ঐতিহ‍্যমন্ডিত ঘড়িটির প্রতি তীত্র ভালোবাসার টানেই তিনি এতোদিন মাত্র ৫০০ টাকা পারিশ্রমিকের পরিবর্তে এটির রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছিলেন। প্রতিদিন এই ঘড়িটিতে দম দিতে হোত। এই ঘড়িটির মেকানিজম ফরাসী। কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকেই চন্দননগরের মানুষের গর্ব  এই ঘড়িটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। মেকানিক সুশান্তের বেতনও বন্ধ। ফরাসী সরকারের থেকে তাদের উপনিবেশ থাকার কারণে চন্দননগর একটা মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য পেয়ে থাকে। কিন্তু তা সত্বেও এই বন্ধ ঘড়িটি যা বর্তমানে চন্দননগরবাসীর কাছে অত‍্যন্ত বেদনাদায়ক।

চৈতালি নন্দী:- চনন্দনগর—-আজ বিকেল তিনটের সময় গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ হুগলি জেলা কমিটির উদ‍্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শরৎচন্দ্র স্মারক একটি গুগল মিট।এই অনুষ্ঠানে ছিল স্বরচিত অনুগল্প ও কবিতা পাঠের আসর। এই অনুষ্ঠানটি প্রতিবছর দীর্ঘদিন ধরেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল কথা সাহিত্যিকের জন্মভিটা দেবানন্দপুরে। কিন্তু পরিবর্তনের আবহে অনিবার্য কারণে তা খুব ছোট করে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল হুগলি বালির মোড়ের পিআরসি ভবনে। আজ এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সমীরণ মন্ডল।প্রাথমিক বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ। হুগলি জেলার গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পি সঙ্ঘের সব আঞ্চলিক কমিটিগুলি এতে যোগ দেয়। প্রায় ৩২ জন শিল্পী এই অনুষ্ঠানটি মনোগ্রাহী করে তুলতে সাহায্য করেন।

সোমনাথ ঘোষ:– শ্রীরামপুর—–চন্ডীতলা ১ এরিয়া কমিটির শিয়াখালা এলাকার সন্ধিপুর সুবলহাড়ায় জন সংযোগ ও গন অর্থ সংগ্রহের কর্মসূচিতে আমরা । ১০০% সংখ্যালঘু বুথে মা বোনেদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় উঠে এলো সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি, লুট, মূল্যবৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়। লাল ঝান্ডা যখন ছিল বিজেপির এত বাড় বাড়ন্ত ছিল না। লাল ঝান্ডাকেই ফিরিয়ে আনতে হবে। উপস্থিত ছিলেন কমরেড রঘুনাথ ঘোষ কমরেড সোমনাথ ঘোষ ও কমরেড কিশোর ভট্টাচার্য ও অন্যান্য কমরেডরা।

সুপর্না রায়:– দূর্গাপুর এক্সপ্রেস ওয়ের তীব্র যানজট এ জেরবার হয়ে যাচ্ছে মানুষ।।মাইতিপাড়া সেতু থেকে সিঙ্গুর এর বড়া পর্যন্ত এই ১৫ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় রোজ বিকেল থেকে যানজটের কবলে পড়ে।। দূরপাল্লার বাস থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ী , আ্যম্বুল্যান্স সহ সব গাড়ী ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে। পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা যেতে তিন ঘন্টার বেশি সময় নিয়ে নিচ্ছে। তীব্র যানজটে জল বা খাবার না পেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এক যাত্রী জানান যে চল্লিশ কিলোমিটার রাস্তা যেতে তাঁর সাড়ে আটঘন্টা সময় লেগেছে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন টোল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।। কতৃপক্ষ যখন টোলের টাকা নিচ্ছে তখন ঠিকমতো পরিষেবা দেওয়া টাও কতৃপক্ষের দায়িত্ব।

সুপর্না রায়:–সংস্কারের এগারো মাসের মধ্যে দ্বারকেশ্বর নদীর উপর নির্মিত সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল ফলে মানুষ এর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সেতুর একাংশ ভেঙেছে আজ বেশ কিছুদিন হলো কিন্তু এখনো পর্যন্ত সারানোর কোন উদ্যোগ দেখায়নি সেচ দপ্তর। অল্প কয়েক দিন আগে ৫০ বছর পুরনো সেতুর আমূল সংস্কার করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। অথচ সেই সেতুর একাংশ ভেঙেছে। অদ্ভুত যুক্তি দেখিয়েছে কতৃপক্ষ বলেছে বড়ো বড়ো ট্রাক যাবার জন্য সেতুর একাংশ ভেঙেছে। সাধারণ মানুষ অবাক হয়ে গেছে এই কথা শুনে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।