রাজ্য

পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মার খাচ্ছে, দায় কার?পুলিশের!না প্রশাসনের??


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ :১৩ই আগস্ট:–পুলিশ নিষ্কর্মা —–কিন্তু কেন? আজ পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন থানাতে ঢুকে দুষ্কৃতি পুলিশ পেটাচ্ছে —–কিন্তু এর পেছনে ইন্ধন কার??

গতকাল সন্ধ্যায় থানায় ঢুকে পুলিশকে বেধড়ক মেরেছে ——কিন্তু এখানে পুলিশের অপরাধ কি?? একদল দুষ্কৃতি আকন্ঠ মদ্যপান করে বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। তাদের ধরে থানাতে নিয়ে আসেন এক পুলিশ অফিসার—–তার কিছুক্ষন এর মধ্যে আরও একদল দুষ্কৃতি থানাতে ঢুকে পড়ে তারপর ওই অফিসারকে কিল—চড়—-ঘুষি—-কিন্তু তাদের শাস্তি কি হল??? না অল্প কিছু জরিমানা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হল আরও দুষ্কর্ম করার জন্য।। কিন্তু প্রশ্ন এরা পুলিশকে মারছে কেন? কে থাকে এদের পেছনে?? এই দুস্কৃতিরা সব শাসক দলের নেতাদের মদতপুষ্ট লোক।। এদের কেউ কিছু বলার সাহসই পায় না।।

কিন্তু পুলিশ কে মারধর করা এই কি প্রথম??? ২০১৪ সালে আলীপুর থানায় দুস্কৃতিদের ভয়ে পুলিশ টেবিলের তলায় লুকোতে বাধ্য হয়। ২০১৩ সালে হরিমোহন ঘোষ কলেজে দুস্কৃতিদের গুলিতে কর্তব্যরত পুলিশ তাপস চৌধুরী নিহত হন। এখনো তার বিচার হয়নি ।

প্রসঙ্গত ২০১১সালের জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের দিন এর সুত্রপাত। -একটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান নিজের মান- মর্যাদা ভুলে সোজা থানায় ঢুকে পুলিশকে ধমক-ধামক দিয়ে দুস্কৃতিদের ছাড়িয়ে আনলেন——-এটাই ছিল প্রথম অশনিসংকেত। —–পরবর্তী কালে পশ্চিমবঙ্গে কি ঘটতে চলেছে???? এই ভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটাতে লাগলেন শাসক দলের নেতা—-মন্ত্রী—-বিধায়ক —-সাংসদরা।। বর্তমান শাসকদল তো ওদের কোমড় ভেঙে রেখেছেন। খোদ পুলিশ মন্ত্রী গুন্ডা কন্ট্রোল করলে সে রাজ্যে কে করবে আইনের রক্ষা? উপরতলার নেতাদের হাত মাথাতে না থাকলে কি এমন ঘটনা ঘটানো যেত?? সব জায়গাতে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।। কেউ শান্তিতে রাস্তাতে বেরতে পারছে না।।সে উঁচু তলার হোক বা সাধারণ মানুষ।। ৮ থেকে ৮০ পর্যন্ত মহিলাদের কোন নিরাপত্তা নেই।। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ক্ষেত্রবিশেষে অতি সক্রিয়, কোথাও নিষ্ক্রিয়। তাই আজ এই ঘটনা ঘটছে।
সুুু্ত্রের খবর টালিগঞ্জ থানায় তাণ্ডব ও পুলিশ নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২। ধৃতদের নাম পুতুল নস্কর, পূর্ণিমা দাস। পুতুল নস্করের নেতৃত্বেই হামলা, দাবি পুলিশের। এর আগে, রাতভর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রবিবার রাতে মেনকা সিনেমা হলের সামনে ৩ মত্ত যুবককে অভব্য আচরণের অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রাতেই থানায় চড়াও হন আটক যুবকদের আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা। থানায় ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান তাঁরা। মারধর করা হয় টালিগঞ্জ থানার এক কনস্টেবলকে। থানা লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। উল্টে পুলিশের বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হামলাকারীরা। তাণ্ডবের ঘটনার ১১ ঘণ্টা পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।