রাজ্য

এ কেমন দৃষ্টিভঙ্গি রাজ্যের


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১৪ আগস্ট: আজব সরকার চলছে পশ্চিমবঙ্গে। দেশের এত সমস্যা – সমস্যার কোন শেষ নেই – সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল হল, কাশ্মীর  ভাগ করে কেন্দ্রশাসিত  অঞ্চলে পরিনত হল। এই নিয়ে যখন সারা দেশ তোলপাড় তখন সেই সব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী  তথা মমতা ব্যানার্জী না কোন সভা না  কোন মিছিল  করলেন অথচ একটা অদ্ভুত কারন নিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছেন!

পুজোকমিটি গুলিকে তলব করেছে আয়কর দপ্তর। সমস্যায় দেশ যখন আলোড়িত তখন তার দাবী  দূর্গাপূজো কমিটি গুলির উপর কোনরকম কর বসানো  চলবে না। তিনি আরও বলেছেন ১৩ই আগষ্ট হিন্দ সিনেমার বিপরীতে তৃনমূলের “বঙ্গ জননী” সংস্থা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধরনায় বসবে।

আয়কর দপ্তর কমবেশি  ৪০টা কমিটিকে ডেকে জানতে চেয়েছে  নানা রকম তথ্য। ২০১৭ সালের পুজো কমিটির হিসাবপত্র, ২০১৮ সালের হিসাবপত্রও খতিয়ে দেখছে আয়কর দপ্তর। আয়কর দপ্তর সূত্রের খবর  অনুযায়ী  তারা অনেকদিন ধরেই বিপুল বাজেটের পূজা কমিটির দিকে নজর রাখছিলেন। এর মাধ্যমে টাকা অন্যত্র কোথাও সরানো  হচ্ছে কিনা এবং টাকার উৎসও খতিয়ে দেখতে চাইছে আয়কর দপ্তর।

২০১৬তে নোট বাতিলের পর আইটি ও ইডি একযোগে কলকাতা শহর সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল। তারা দেখেছিল নোট বাতিলের পর একাধিক ভুয়ো  সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে। যে কমিটি গুলোকে তলব করা হয়েছে এবং যাদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া  হয়েছে তাদের প্রায় সব কমিটির মাথা তে রয়েছে শাসকদলের দাপুটে নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক। এই কারনেই শাসকদল চরম অস্বস্তিতে পড়েছে।

এই নিয়ে আগে বৈঠক হয়েছে। সেখানে  জানানো  হয়েছে যে সব কমিটি এখন তাদের বকেয়া টাকা মেটাতে পারে নি তাদের কর কেটে টাকা জমা করতে হবে আয়কর দপ্তরে। আগামী পুজো থেকেই এই আইন প্রত্যেক পুজা কমিটিকে মানতে হবে। এত দিন ধরে ঘটে আসা – এত বৈঠক করা – তারপর ঠিক এই দোলাচলের সময়  মমতা ব্যানার্জী কেন অবস্থান আন্দোলনের ডাক দিলেন সেটাই একটা বড় প্রশ্ন ও ধন্দ তৈরী করেছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।