রাজ্য

বিশিষ্ট স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শ্যামাপদ গড়াইকে পূর্ণ পেনশন দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২৫শে ডিসেম্বর:–পূর্ণ পেনশনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টেরডাক্তার শ্যামাপদ গড়াইবিশিষ্ট স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ যিনি মমতা ব্যানার্জি সরকার এর হেনস্থার শিকার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাত্র সাত দিনের মধ্যে।তার উপর যে হেনস্থা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন বাংলার বহু মানুষ।।

উল্লেখ্য ২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জি সরকার গঠন করেন ।। ২৬ শে মে হঠাৎ করে তিনি বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান এবং তাঁর আজ্ঞাবহ অনেকেই বিনা অনুমতিতে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে পড়ে।। সকলের সামনে সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন ডাঃ গড়াইয়ের বিরুদ্ধে নাকি অনেক অভিযোগ আছে।। মুখ্যমন্ত্রীকে ডাঃ গড়াই বলেন ম্যাডাম এটা হাসপাতালএখানে এত মানুষের ভীড় এত চিৎকার চেঁচামেচিতে রোগীদের ক্ষতি হবে।।।

এই কথাতে ফল হল উল্টো।। মুখ্যমন্ত্রী ভীষণ ভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন।। তখন ডাঃ গড়াই বোঝানোর চেষ্টা করেন _বলেন ২৭ শে মে তিনি কিছুতেই দেখা করতে পারবেন না কারন পূর্ব নির্ধারিত কিছু কাজ আছে যা রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত।। তিনি অন্য একটি সময় চান দেখা করার জন্য।।এই কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সদলবলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীও।। স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ আসে যে ডাঃ গড়াইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং রাজ‌্যসরকার ডাঃ গড়াই এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে।।

২০১৩ সালে তদন্তকারী অফিসার অবসর গ্রহণ করেন কিন্তু তার কার্যকাল বাড়ানো হয় একবছর।। কিন্তু তার মধ্যেও তিনি তদন্ত শেষ করতে পারেন নি।। ইতিমধ্যে ডাঃ গড়াই অবসর গ্রহণ করেন ২০১৮ সালে যখন অবধি তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল তার তদন্ত শেষ হয়নি।।অবসর গ্রহণের পর তাঁর প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা তো বটেই এমনকি তাঁর পেনশন দেয়নি রাজ্যসরকার।। পেনশন এর দাবি নিয়ে ডাঃ গড়াই স্যাটে মামলা করেন।।স্যাট জানায় যে ডাঃ গড়াই আংশিক পেনশন পাবেন আর তারপর স্যাটের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডাঃ গড়াই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।। মঙ্গল বার সেই মামলার রায় বেরিয়েছে।।

বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও সৌগত ভট্টাচার্য এর ডিভিশন বেঞ্চ রায় দান করেন এবং জানিয়েছেন যে ডাঃ গড়াই এর বিরুদ্ধে তদন্ত এর কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং তাঁর প্রাপ্য পেনশন তাকে দিতে হবে।। আবেদন কারীর পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইন জীবি সামিম আহমেদ।। হাইকোর্টের এই নির্দেশ এ মুখ পুড়লো রাজ্যসরকারের।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।