চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২৫শে ডিসেম্বর:–পূর্ব প্রতিশ্রুতি না মেনে সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য জানাতে অস্বীকার করলো কেন্দ্র।।২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইস্তাহারে মোদী সরকার প্রতিশ্রুতি দেয় যে সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকা উদ্ধার করা হবে। সেই টাকা থেকে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকদের ব্যাঙ্কের তহবিলে ১৫ লক্ষ করে টাকা জমা করা হবে। এই প্রতিশ্রুতি কবেই তামাদি হয়ে গেছে। এরপরে এসেছে নোটবন্দির গিমিক।সেখানেও বলা হয়েছিল যে এতে উদ্ধার হবে কালো টাকা।কিন্তু সাতমন তেল পুড়লেও রাধা নাচেনি । উদ্ধার হয়নি কোন কালো টাকা।
বর্তমানে সুইস ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের তালিকা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে এলেও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিয়েছেন চুক্তি অনুযায়ী গোপনীয়তা র শর্ত সাপেক্ষে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাবেনা।আরটিআই করেও কোনো লাভ হবেনা। তথ্য গোপন রাখা হবে।
গত সেপ্টেম্বরেই চুক্তির প্রথম কিস্তি হিসেবে তার বিস্তারিত তথ্য ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কালো টাকা নিয়ে তৎপরতার ফলস্বরূপ সুইস ব্যাঙ্ক প্রত্যেক দেশের আমানতকারীদের তথ্য সেই দেশের সরকারের হাতে তুলে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা ভারত সরকারের
মজুত অর্থ ও আমানতকারীর পরিচয় সরকারকে জানিয়ে দেয়। এই সমস্ত টালবাহানার সুযোগে আমানতকারীরা সুইস ব্যাঙ্কের গচ্ছিত টাকা অন্যত্র সরিয়ে নেয়। ফলে বড় অঙ্কের টাকার সন্ধান মেলেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে মোদী সরকারের কোনো কৃতিত্ব নেই। তাও যেটুকু তালিকা পাওয়া গেছে সেটাও তারা চুক্তির অজুহাতে প্রকাশ করতে অস্বীকার করছে। এদিকে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চ জানিয়েছে ১৯৯০ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত কালো টাকার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩লক্ষ ৮ হাজার ৪০০ কোটি ডলার থেকে ৪ লক্ষ ৯ হাজার কোটি ডলার। আসলে নয়া উদারাবাদের হাত ধরে সুইস ব্যাঙ্কের আমানত বেড়েছে দ্রুত গতিতে। প্রকৃতপক্ষে তথ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী কে কাজে লাগিয়ে সারা পৃথিবীর কালো টাকা দীর্ঘদিন ধরে এখানে জমা পড়ে আসছে।বর্তমানে ভারত সহ ৭৫ টি দেশের সঙ্গে তথ্য সংক্রান্ত চুক্তি হয় সুইশ সরকারের।কিন্তু ভারত সরকারের পক্ষে তথ্য উদ্ধার আশাব্যাঞ্জক নয়।সরকার এখন বলছে বিদেশে গচ্ছিত টাকা মানেই তা কালো টাকা নয়।তবে যাবতীয় তথ্য তদন্তের ফলে জনসমক্ষে আসতে চলেছে।