দেশ রাজ্য

সরকারের নিয়ন্ত্রণহীনতায় জনজীবন বিপর্যস্ত লকডাউন অবস্থায়।


কল্পনা গুপ্ত:চিন্তন নিউজ:২৬শে মার্চ:– মুড়ির দাম ৬০ টাকা কেজি, যা পাওয়া যেতো ৫০ টাকায়। বিস্কুট পাওয়া যাচ্ছে না। ডিম ১০ টাকা প্রতি। এছাড়াও অন্যান্য অত্যাবশকীয় পণ্যের দাম কোথাও আকাশছোঁয়া আবার কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ না থাকায় রাজ্যের মানুষের অবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়ছে ক্রমশ।

ভাইরাস আক্রমণের আশংকায় লকডাউনের প্রয়োজন যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার সাথে সাথে ঘরবন্দী মানুষের দৈনিক প্রয়োজন মেটানোর প্রাথমিক দ্রব্যগুলির সরবরাহও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ।

মুদিদোকান ও ওষুধের দোকানে উপচে পরা ভীড়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ওষুধের কালোবাজারি সমাজে এক অস্থির অবস্থা তৈরি করেছে। রাজ্যসরকারের উদাসীনতার ফলে এই অবস্থা আরো জোড়ালো হয়েছে। পুলিশের বাড়াবাড়ি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাক নাসিক, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রাজ্যে আসার পথে আটকে আছে।

রাজ্যের অন্যতম বৃহত সব্জি মান্ডি হাওড়ার ধুলাগোড়িতে মাত্র ১০ শতাংশ পণ্যবাহী ট্রাক এসেছে। প্রতিদিন পরিস্থিতি মনিটারিং করার কথা রাজ্য সরকারের তৈরি টাস্ক ফোর্সের যার শীর্ষে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। লকডাউন কার্যকর রাখতে সরকারই রাস্তায় পুলিশ নামিয়েছে। এখন পরিস্থিতি জটিল হতেই মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনার দায় চাপিয়ে দিয়েছেন পুলিশের উপর।

গত চারদিন আগে ভাইরাস আক্রমণের আশংকায় রাজ্য পরিবহন দপ্তর এক নির্দেশিকা জারি করে যে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে অত্যাবশকীয় পণ্যবাহী যান প্রবেশ করতে পারবে না। ইঁট, বালি, পাথর, সিমেন্টের মত মূলত ইমারতি দ্রব্যকেই এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকে এখন সব পণ্যবাহী যানকেই রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে রাজ্যের বাজারে টান পড়ছে চিনি, আটা থেকে জীবনদায়ী ওষুধের।

এই অবস্থায় টান পড়েছে মুদিখানার ভাঁড়ারে। শুরু হয়েছে কালোবাজারি। সবকিছুর দাম যাচ্ছে বেড়ে। এই পরিস্থিতির সংকটাকার ধারণের জন্য পুলিশের অতিসক্রিয়তাকেই দায়ী করছে সব্জি ব্যবসায়ীরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।