দেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দিল্লির প্রথম মহিলা প্লাজমা ডোনার ভূমিকা কোহলি—–


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:৬ই জুলাই:- করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দিল্লির প্রথম মহিলা ডোনার ভূমিকা কোহলি। তিনি জানান,”করোনা ভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও নারীদের অ্যান্টিবডি যুক্ত প্লাজমা দান করা উচিৎ।” উত্তর- পশ্চিম দিল্লির রোহিনীর বাসিন্দা ২০ বছর বয়সী ভূমিকা কোহলির ৩০ মে এবং তাঁর ভাই অর্পিত কোহলির ২৫ মে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে। গত শনিবার দিল্লির লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি ইনস্টিটিউটে দেশের প্রথম প্লাজমা ব্যাঙ্কে নিজেদের প্লাজমা দান করেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্লাজমা ব্যবহারের জন্য গত বৃহস্পতিবার এই কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ব্যাঙ্ককি রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাঁদের প্লাজমা সংগ্ৰহের জন্য। ভূমিকা বলেন এ এ পি বিধায়ক রাঘব চাড্ডা তাঁদের ভাইবোনকে উদ্বুদ্ধ করেন প্লাজমা দান করার জন্য।

মিঃ অর্পিত বলেন,”আমরা প্লাজমা দান করার উপযুক্ত কিনা তা জানার জন্য কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। পুরো পরীক্ষাটি করতে কেবলমাত্র ৪৫ মিনিট সময় লেগেছিল।” তিনি আরও বলেন ঐ হাসপাতালের চিকিৎসকরা খুবই ধৈর্য্যশীল এবং সাহায্যকারী। শ্রীমতী ভূমিকা বলেন যখন ডাক্তারবাবুরা জানতে পারেন যে তিনি রাজধানীর প্রথম মহিলা প্লাজমাদাতা তখন তাঁকে একটি প্রশংসাপত্র দেন ও অন্যদের অনুপ্রাণিত করার জন্য একটি ভিডিও বার্তা দিতে বলেন। তিনি বলেন,”অনেক মহিলা এ ব্যাপারে অংশ নিতে দ্বিধা বোধ করেন কিন্তু উদ্বিগ্ন ও ভীত হওয়ার কিছু নেই। বরং কর্তৃপক্ষকে করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করতে এগিয়ে আসা উচিত।” তিনি তাঁর এক বন্ধু শ্রুতিকে এ ব্যাপারে রাজী করিয়েছেন। শ্রুতিও সদ্য করোনা মুক্ত হয়েছেন। তিনি জানান,” এই রোগে আক্রান্ত হলে সাহস হারানো চলবে না, সাধারণ মানুষ ও পরিবারের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে হবে। শরীরের চেয়েও বেশী মনকে প্রভাবিত করে এই রোগ। ১৪ দিনের কোয়েরেন্টাইনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্ৰহণ করতে হবে।”সাংবাদিকতা শিক্ষার্থীরাও এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া ও জরুরী অবস্থা মোকাবিলার পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। “আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারিনি। বাড়ি থেকে আলাদা থাকার সময় কী করা উচিত জানতাম না। তাই প্রথমদিকে ভয় পেয়েছিলাম।” বিধায়ক রাঘব চাড্ডার সদর্থক ভূমিকা আরও অনেকের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে। ” আমরা আরও অনেক বেশি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষকে চাই তাঁদের প্লাজমা দান করার জন্য। আমরা নিজেরা এই ধরনের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি। এছাড়া ভিডিও বার্তা ও সোস্যাল মিডিয়াতেও প্রচার চালাচ্ছি।”

মিঃ চাড্ডা জানান। তিনি আরও বলেন, “আমরা প্লাজমাদাতাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ও পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এটি একটি নির্ঝঞ্ঝাট ও ব্যাথাহীন পদ্ধতি, কেবলমাত্র ৪০ মিনিট সময় লাগে। প্লাজমাদাতাদের উদ্বেগের সমাধানের জন্য একটি দল রয়েছে।” অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই সবদিক দেখাশোনা করছেন। তিনি এও বলেন, ” যে মহিলারা সন্তান ধারণ করেছেন তাঁরা প্লাজমা দান করতে পারবেন না। এই কারণেই মহিলা দাতার সংখ্যা কম।”


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।