শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

অট্রিয়াল ফিব্রিলেশন


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৯ই জুলাই:—অট্রিয়াল ফিব্রিলেশন——— আমরা জানি আমাদের হৃদপিন্ড একবার সংকোচন আর একবার প্রসারণ হয় যাকে বলে হৃদস্পন্দন।।যদি এই হৃদস্পন্দনে দীর্ঘ দিন ধরে ছন্দের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে এক রোগের সৃষ্টি হয় ——তার নাম অট্রিয়াল ফিব্রিলেশন বা ইংলিশে বলে AF…. আমাদের হার্টের চারটি প্রকোষ্ঠ থাকে।দুটি উপরে আর দুটি নীচে। হার্টের ডানদিকে যে প্রকোষ্ঠ থাকে —-তাতে থাকে আমাদের নিজস্ব পেসমেকার যাকে বলে সাইনাস নোড।। এখান থেকে হৃদস্পন্দনের সৃস্টি।।যখন এই উৎপত্তিস্থল নস্ট হয়ে যায় এবং অলিন্দের বিভিন্ন অংশ থেকে অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দনের উৎপত্তি ঘটে।। অনেকদিনের অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেশার ——-করোনারী আটর্রী ডিজিজ ——হার্টের পাম্পিং ফাংশান কমে আসা —–কার্ডিও মায়োপ্যাথি—–মোটা হয়ে যাওয়া—-থাইরয়েড এর অসুখ —–হার্টের ইলেক্ট্রিক্যাল সার্কিটের জটিল অসুখ।।নিউমোনিয়া —রক্তে লবনের পরিমান কম বেশী হওয়া——তাছাড়া প্রাণঘাতী অসুখও কিছু কিছু অপারেশন এর পর অট্রিয়াল ফিব্রিলেশন দেখা যায়।। এই অসুখের কয়েকটি সাধারণ উপসর্গ —–হঠাৎ করে হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে যাওয়া—–চোখে অন্ধকার দেখা —–বুকে চাপ চাপ ব্যাথা অনুভব করা —— অধিকাংশ রোগীর কোনো উপসর্গ দেখা যায় না।।তাই রোগ সনাক্ত করতে অনেক সময় লেগে যায়…..ECG বা ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার হল্টার মনিটারিং এর মাধ্যমে অসুখটি ধরা যায়।।রোগী দের সবসময় বলা হয় যদি হঠাৎ করে শরীর খারাপ করে তবে কাছাকাছি কোন সেন্টারে গিয়ে একটা ECG করে নিতে। এখন অনেক আধুনিক ডিভাইস বেরিয়েছে যার দ্বারা খুব সহজেই ECG করা স্বম্ভব।। এই রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে সাধারণত দুটি বিষয় এর উপর—-১)অসুখ টি কতদিন ধরে চলছে আর ২) রোগীর কতটা অসুবিধা হচ্ছে? বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অসুধ দিয়েই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয় আর যদি রোগীর অবস্থা খুবই সংকটজনক হয় তখন হার্টের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনতে ইলেক্ট্রিক শকের প্রয়োজন হয় বললেন ডাঃশুভ্র শংখ দাস। এই রোগটি তখন প্রাণঘাতী হয় যখন ওমবোলিজম হয়।।। এর মানে অনেক সময় রক্তের ঢেলা হার্ট থেকে বেরিয়ে ব্রেনে চলে যায় তখন ব্রেন ষ্ট্রোক হতে পারে।। এই এমবোলিজম প্রতিরোধ এ রক্ত পাতলা হবার অসুধ দেওয়া হয়।। ডাঃ দাস বললেন যখন হার্ট রেট খুব কমে যায় তখন পেসমেকার বসানো হয়।। ডাক্তার বাবু আরও বললেন যে করোনারী আর্টারী ডিজিজ হবার পেছনে যে কারণ গুলি কাজ করে তার সবগুলীইAF হোতে পারে।।তাই এই রোগ প্রতিরোধ এর জন্য সচেতনতা মূলক নিয়মাবলী মেনে চলা উচিৎ ———–সুস্থ থাকুন——-সুস্থ রাখুন——–সুস্থ ভাবে জীবন কাটান।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।