রাজ্য

নিথর হয়ে গেছে কাতরুসা গ্রাম।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১লা নভেম্বর:—নিথর হয়ে গেছে কাতরুসা গ্রাম।পশ্চিমবঙগে কাজের অভাব পরিবার চালানো দায় আর তাই জন্য এই রাজ্যের পাঁচ জন শ্রমিক আপেল বাগীচায় কাজ করতে গিয়েছিল আর সেটাই কাল হল তাদের।। যে পাঁচ শ্রমিক কাশ্মীর উপত্যকাতে গিয়েছিল তাদের একসঙ্গে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।। এত সঙঘর্ষ , সংঘাতের পরেও কাতরুসা ছিল শান্তিপূর্ণ।সব মানুষের মিলনস্থল ছিল। এমন কোন ঘটনা ঘটতে পারে তা কেউ ভাবেনি।

কাশ্মীর উপত্যকা তে অনেকই আসে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ঘটনার পরম্পরায় কেউ কাজের জন্য থেকে যায় কেউ ফিরে যায়। কাশ্মীর এর ঘটনায় অনেকেই ফিরে গিয়েছিল কিন্তু এরা কাজের তাগিদে থেকে গিয়েছিল। কিছুদিন আগে এই সাতজন কাতসুরার বিশাল আহমেদ এর বাড়িতে ভাড়া আসেন।। এরা সবাই মুর্শিদাবাদ জেলার লোক।।বিলাল আহমেদ এর একটি ছোট দোকান আছে আর তার উপর এর ঘরটিকে এদের ভাড়া দিয়েছিলেন। এই সাতজন কৃষিক্ষেত্রে কাজ করত।। মঙ্গলবার একদল আততায়ী সন্ধ্যা নাগাদ ওই ঘরে ঢুকে ছয় জনকে ধরে নিয়ে যায়। একজন পালিয়ে বাঁচে। আধঘন্টা পর ধরে নিয়ে যাওয়া ছয়জনকে গুলি করা হয়।। গুলিতে নিহত হয়েছেন রফিকুল শেখ, রফিক শেখ, মুরসালিন শেখ,নইমুদ্দিন শেখ।।। তাছাড়া গুলি লাগে জহিরুদ্দিন এর। হসপিটাল এ নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয

আবার সুত্র জানিয়েছে তিনি চিকিৎসাধীন।কাতসুরার গ্রামের লোকজনই উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে।। এই গ্রামে সিপিআইএম ভালো প্রভাব আছে।। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের সময়ে তারা হসপিটাল এ ছিলেন পরে মৃতদেহ শ্রীনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।।।সেখান থেকেই তাদের রাজ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।।আর জহিরুদ্দিন কে দেখতে হাসপাতালে যান সিপিআইএম কূলগাম জেলা সম্পাদক। সিপিআইএম নেতা তারিগামীকে শ্রীনগর এ গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছ তাও এই নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর পেয়েই তিনি দলীয় নেতা দের সাথে কথা বলেন এবং ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেন।।। পরে তিনি হাসপাতালে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাঁকে যেতে দেননি।

তারিগামী বলেছেন কোনদিন এই গ্রামে কোনদিন কোন অসুবিধা হয়নি।।এই নৃশংস হত্যাকান্ডের তিনি তীব্র নিন্দা করেছেন।। মৃতদেহ গুলো যাতে সুষ্ঠু ভাবে নিজের নিজের মানুষ এর কাছে পৌঁছায় তার জন্য কমিশনার কে অনুরোধ করেছেন।। কারসুরা গ্রামের বাসিন্দারা ধন্দে পড়ে গেছে কারা এই ঘটনা ঘটালো।। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ এর একটি দল এদিন কাশ্মীর উপত্যকাতে আসে।।।। সরকার চেয়েছিল কাশ্মীরকে স্বাভাবিক দেখাতে।। কিন্তু কাশ্মীর মোটেও স্বাভাবিক নয় যা দেখানো হচ্ছে তা সাজানো তা সাংসদ রাও বুঝে গেছেন।। গত কয়েকদিন এ অন্য রাজ্যের ১১ জন নিহত হয়েছেন_এদের মধ্যে কেউ গাড়ি চালক, শ্রমিক, ছোট ব্যাবসায়ী ।।

উগ্রপন্থী তুঙ্গ মুহুর্তে ও এমন ঘটনা ঘটেনি।। গত ৫ ই অগাস্ট এর পর থেকে প্রতিবাদ অব্যাহত আছে।। যানবাহন চলাচল করছে না, দোকান পাট বন্ধ, স্কুল_কলেজ সব বন্ধ।। কুলগাম এর ঘটনার পর মৃতদেহ দের রাজ্যে ফেরত এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী কে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ অধীররন্জন চৌধুরী।। কাশ্মীরে মুর্শিদাবাদ এর অনেক শ্রমিক কাজ করেন তারা যেন নিরাপদ এ থাকে আর যথেষ্ট নিরাপত্তা পান সেটা দেখা সবার কর্তব্য।।।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।