চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১লা নভেম্বর:–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের মুখে বেফাঁস মন্তব্য।।
কেন্দ্রীয় সরকার আয়োজিত ইউরোপীয় সাংসদের বিলাসবহুল আতিথ্যপূর্ন কাশ্মীর ভ্রমণ ছিল প্রকৃত পক্ষে মোদী সরকারের একটি কূটনৈতিক চাল।এই কৌশলটা ছিল সম্পূর্ণভাবেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ‘ব্রেন চাইল্ড’।তবে এই ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের কাশ্মীর সফর ঘিরে বিস্তর সমালোচনার মুখে , ইউরো প্রতিনিধিদের মতো একই লাইনে চিন্তায় অভ্যস্ত মোদী সরকার।যদিও এই বিলাসবহুল গাড়ি ,শিকারা ভ্রমণ সত্বেও এই ইউরোপীয় প্রতিনিধি দের সম্পূর্ণ বাগে আনতে ব্যার্থ মোদী সরকার।
গতকাল কাশ্মীর ছাড়ার আগে এই প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে কাশ্মীর ভারতের আ্য্য্যন্তরী বিষয়।এই বিষয়ে তাঁরা কোনো রকম হস্তক্ষেপ করতে চান না।তাঁরা শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে যে একতরফা তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে ,তার সত্যতা যাচাই করতে এসেছিলেন।তাঁরা একথাও বলেন সন্ত্রাস দমনে ভারতের পাশেই থাকা উচিত।
যদিও ইউরোপীয় সাংসদের আতিথ্যে কোনো ত্রুটি ছিল না, তবুও কিছু কিন্তু অসঙ্গতি তাঁদের চোখ এড়ায়নি। জার্মান নিকোলাস ফেস্ট এর মতে, বিদেশিদের যদি কাশ্মীর ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া যায় তবে ভারতের বিরোধী সাংসদদের ও কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া উচিত। তাঁর মতে কিছু মানুষকে ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকারি ঘেরাটোপের বাইরে রাখা হয়েছিল।তাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে পারেন নি।ব্যাপারটা যে তাদের দৃষ্টি এড়ায়নি একথা স্পষ্ট। উগ্র দক্ষিণপন্থী ইউরোপীয় নেতাদের দিয়ে কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিকরনের যে চেষ্টা মোদি করেছেন , আমন্ত্রিত অতিথি রা সেটা ভারতের আভ্যন্তরিন বিষয় বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। মালোঁসের বক্তব্যে স্পশ্ট , যে সরকারি নিয়ন্ত্রণে তাঁরা কথা বলতে পারেন নি। পরের বার এলে নাগরিক সমাজের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।প্রকৃতপক্ষে কাশ্মীরকে স্বাভাবিক দেখানোর প্রচেষ্টা সামনে এসে পড়ে। কংগ্রেস এই সফরকে কূটনৈতিক ভ্রান্তি বলে অভিহিত করেন।
এই সমালোচনার মাঝে আর একটি বিষয় গুঞ্জন ছড়াচ্ছে, তা হলো ঠিক এই সময়েই কেন শ্রমিক হত্যার ঘটনাটা ঘটলো। ঠিক যেমন ভোটের সময় আসলেই কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শুরু হয়, তেমনই আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের চোখে অবরুদ্ধ কাশ্মীর…. কেন অবরুদ্ধ সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রচেষ্টা নয়তো!