নিউজ ডেস্ক: চিন্তন নিউজ:৪ঠা নভেম্বর :-কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে ফের গ্রেনেড বিষ্ফোরণ। লালচকের কাছে শ্রীনগরের বাজার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সোমবার দুপুরে। বহু মানুষ জখম হয়েছেন।সূত্রের দাবি, কমপক্ষে ১৫ জন জখম হয়েছেন, একজনের মৃত্যুও হয়েছে। সেসময় বাজারে কেনাকাটার ভিড় ছিল।
উত্তর কাশ্মীরের সোপোরে গত ২৮ অক্টোবর গ্রেনেড হামলায় প্রায় ১৯-২০ জনের জখম হওয়ার দিনকয়েক বাদেই ঘটল আজকের হামলা। কারা নাশকতা চালিয়েছে, জানা যায়নি। কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি এখনও। প্রশাসনিক ভাবে জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ এখন দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
গত সপ্তাহে উপত্যকা ঘুরে গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির এক প্রতিনিধিদল। তারা পা রাখার আগের দিনই সোপোরে হোটেল প্লাজার কাছে বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলা হয়।এবং ২৯শে অক্টোবর পাঁচ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।সন্ত্রাসের আতঙ্ক যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভূস্বর্গকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরের দিকে হরি সিং হাই স্ট্রিট এলাকায় জমজমাট বাজারের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। অনেকেই কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই এক জনের মৃত্যু হয়। আহত ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে সেনা ও পুলিশ।
প্রসঙ্গত গত ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই উপত্যকায় কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। ল্যান্ডলাইন, মোবাইল, ইন্টারনেট, কেবল টিভির মতো পরিষেবা বন্ধ করে কড়া নজরদারি ছিল নিরাপত্তা রক্ষীদের। তার প্রায় তিন মাস পরেও এমন পরিস্থিতি!
গত ৩১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর বিভাজন বিল। অর্থাৎ জম্মু কাশ্মীর এবং লাদাখ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তার জেরে নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও হামলা চালাল জঙ্গিরা।কবে ফিরবে উপত্যকায় শান্তি??কেন্দ্র সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তের মাসুল দেবে দেশের জনগণ??