দেশ

রাহুল, সীতারামে না!!! ইউরোপের অতি দক্ষিণপন্থীদের জন‍্যে খুলে যাচ্ছে অবরুদ্ধ কাশ্মীরের দরজা!!


চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:৩০শে অক্টোবর:–ইউরোপের অতি দক্ষিণপন্থীদের জন‍্যে খুলে যাচ্ছে অবরুদ্ধ কাশ্মীরের দরজা।।
৩৭০ ধারা জারি হবার পর  কয়েক মাস কেটে গেছে।এখনও অবরুদ্ধ কশ্মীর। যোগাযোগ ব‍্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।এখনও চলছে রীতিমতো দমনপীড়ন। লঙ্ঘন করা হচ্ছে কাশ্মীরের অধিবাসীদের মানবাধিকার। বিরোধী দলের সাংসদ ও রাজনীতিকদের জন‍্যে অবরুদ্ধ হলেও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একদল সদস্যদের জন‍্যে কাশ্মীরের দরজা খুলে দেবার ব‍্যবস্থা করেছে মোদী সরকার।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে একান্ত আলোচনার পর মঙ্গলবার ২৭ জনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদদের এই দলটি কাশ্মীরে ঢোকার ছাড়পত্র পাচ্ছে। যে দলটি কাশ্মীরে আসছে তারা অতি দক্ষিণপন্থী ও শরনার্থী বিরোধী বলে পরিচিত দলের সদস্য। প্রকৃতপক্ষে আমাদের বর্তমান শাসকদলের সঙ্গে এই ইউরোপীয় দলটির রাজনৈতিক অবস্থানের কোনও ফারাক নেই।কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়ে দিয়েছে এই সফর সরকারি সফর নয়।

কাশ্মীরের বর্তমান সম‍স‍্যা, ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে এখনও উত্তাল কাশ্মীরের উপত‍্যকা। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই এই সমস‍্যাটিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থাপন করেছে। ফলে ভারতের উপর পুরো আন্তর্জাতিক মহলের চাপ রয়েছে। এই প্রতিনিধি দলটি কাশ্মীরে ঘুরে গিয়ে যদি ইতিবাচক রিপোর্ট দেয়, তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরের জন‍্যে সওয়াল করতে সুবিধা হয়।

বর্তমানে তিনজন প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী সহ প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকেই কাশ্মীরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। এছাড়া কাশ্মীরের বাইরে থেকে বিরোধী শিবিরের কোনো রাজনৈতিক নেতাকেই কাশ্মীরে প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে না।প্রকৃতপক্ষে কাশ্মীরের পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক এটা বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টাতেই সরকার ইউরোপের ফ‍্যাসিবাদী, অতি ডানপন্থী ও শরনার্থী বিরোধী নেতাদের কাশ্মীরে ছাড়পত্র দিচ্ছে।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে হচ্ছে দেশের নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের অনুমতি দিয়ে সরকার ভারতের গনতন্ত্র সংবিধান এবং ভারতীয় সাংসদদের অসম্মান করছে। তাদের মতে ৩৭০ ধারা রদ করে যদি কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়ে থাকে তবে সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বৈষম্য কেন থাকবে। সিপিআইএম নেতা ইয়েচুরিকে কাশ্মীরে প্রবেশের জন‍্যে কেন ই বা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হোলো। কেনই বা রাহুল গান্ধী কাশ্মীরে প্রবেশাধিকার পেলেন না।

কাশ্মীরের মানুষের আশা এই ইউরোপীয় সাংসদের দলটি কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করার এবং কথা বলার সুযোগ পাবে। তারা হয়তো কথা বলবেন চিকিৎসক, স্থানীয় সংবাদ মাধ‍্যম বা নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গে…. সমগ্র পৃথিবীর মানুষ জানতে পারবে কাশ্মীরের দূরবস্থার কথা, গোটা দুনিয়ার সঙ্গে কাশ্মীরের দূর্ভেদ‍্য পর্দা উঠে যাবে…মুক্তি পাবে কাশ্মীর। তবে এই প্রত‍্যাশা স্বপ্ন না বাস্তব তা ভবিষ্যৎই বলবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।