দেশ রাজ্য

দুই বছর এ স্কুল ছুটের সংখ্যা ১০ লক্ষ!!!


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২৯শে অক্টোবর :–সুত্র বলছে দুই বছর এ স্কুল ছুটের সংখ্যা ১০ লক্ষ!!! রাজ্য সরকার নিজেই স্বীকার করে নিল যে গত দুই বছর এ স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ছে আর তা বাড়তে বাড়তে ১০ লক্ষে পৌছে গেছে।। অথচ মুখ্যমন্ত্রী জোর গলায় ঘোষণা করেছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় ভাষনেও বলেছেন “”স্কুল ছুটের সংখ্যা কমছে ।। মিডডে মিলের আওতায় এসে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চা রা স্কুল মুখী হয়েছে””” ।।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবি এখন বেশ বড়সড় প্রশ্নের মুখে।। পশ্চিম বাংলার স্কুল গুলোতে মিডডে মিলে নুনভাত থেকে বিস্কুট খাওয়ানোর মতো উদাহরণ আছে।। আবার পড়ুয়ারা একাধিক দিন মিডডে মিল পায়নি তেমন পরিসংখ্যান ও আছে। প্রতি বছরর প্রথমে কত মিড_ডে মিল লাগবে সেটা তা কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে জানাতে হয় প্রতিটি রাজ্য সরকারকে।। আর এর হিসাব দিতে গিয়ে দেখা গেছে এই অবস্থা রাজ্যের।।

শিক্ষকদের একাংশের মতে যথেষ্ট শিক্ষকের অভাবে স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ছে।। স্কুল গুলোতে যে শিক্ষক আছেন তাদের দিয়ে শিক্ষকতা ছাড়াও অন্য নানারকম কাজ করাচ্ছে সরকার।।এর ফলে তারা ক্লাসে সময় দিতে পারছেন না। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামোকেও কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন শিক্ষকরা।।

এ ছাড়া স্কুল গুলোকে যে বেসরকারী করণের চেষ্টা চলছে সেটাকে একটি বড়সড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বাচ্চাদের অভিভাবকদের কাজের অভাব তার ফলে তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে।। একারনে অনেকেই প্রাথমিক থেকে আর উচ্চ প্রাথমিক এ ভর্তি হচ্ছে না।।। অল্পস্বল্প পড়াশোনা শেষ করেই তারা চায়ের দোকান, গ্যারাজে কাজ নিয়ে নিচ্ছে।। আবার অনেককে তাদের অভিভাবকরা ভিনরাজ্যে কাজে পাঠিয়ে দেন।।

অবস্থা এমন হয়েছে যে পড়ুয়াদেরও মনে বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে যে লেখা পড়া করে কিছু হবে না।। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সভাপতি কৃষ্ণ প্রসন্ন ভট্টাচার্য বলেন,””প্রতি বছর প্রাথমিক এ প্রায় ১ কোটি বাচ্চা ভর্তি হচ্ছে কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় ১০ লক্ষ ছেলে মেয়ে। মাঝের এই পড়ুয়া রা স্কুল ছুট হয়।।। কেন এমন হয় তার উত্তর সরকারের কাছেও নেই।।

শিক্ষক নেতা সমর চক্রবর্তী বলেছেন””””বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যা থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বেসরকারীকরণের ছবি টা।।।সাধারণের শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।। ফলে কমছে পড়ুয়া সংখ্যা।””””


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।