দেশ

লোকসভায় মহিলার ৩৩% আসন সংরক্ষণ বিল গৃহীত করার দাবিতে মহিলা সংগঠনের যৌথ প্রতিবাদ…..


সীমা বিশ্বাস, আসাম: চিন্তন নিউজ:১৩ই সেপ্টেম্বর:- ৩৩%আসন সংরক্ষণ বিল লোকসভায় গৃহীত করার দাবিতে রাজ্যজুড়ে কয়েকটি মহিলা সংগঠন ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে। গুয়াহাটিতে যৌথ ধর্ণা কার্যসূচি রূপায়ন করা হয়। এই কার্যসূচিতে অসম মহিলা সংঘ, প্রগতিশীল নারী সংস্থা, নিখিল ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি জিলা শাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করে। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন যে .. দেশের রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ শক্তিশালী রূপে বৃদ্ধি পেয়েছে যদিও সংসদীয় ব্যবস্থায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় মহিলাদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভায় মহিলার অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার জন্য ১৯৯৬ সনের ১২সেপ্টেম্বরে লোকসভায় প্রথম মহিলা আসন সংরক্ষণ বিল উত্থাপন করা হয়েছিল। ১২সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে এই যাত্রার ২৫ বছর পূর্ণ হলো।

এই বিল লোকসভায় কয়েকবার উত্থাপন করা হয় যদিও বা ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়নি। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে ১৯৯৫ সনে সংবিধানের ৭৩ এবং ৭৪তম সংশোধনের দ্বারা পঞ্চায়েত নগর নিগমে মহিলার জন্য ৩৩% সংরক্ষণ করা হয়।

অসম , উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ সহ কিছু রাজ্যে ৫০% সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দেখা গেছে যে গ্ৰামাঞ্চলে এবং নগর নিগমে বিভিন্ন অংশের মহিলারা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। কিন্তু তার বিপরীতে আজ পঁচিশ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ও লোকসভায় এই ৩৩% আসন সংরক্ষণ বিল গৃহীত করতে সক্ষম হননি।

১৯৯৬সালে ১২সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রে দেবগৌড়ার নেতৃত্ত্বে থাকা যুক্ত ফ্রন্ট সরকারের শাসনকালে সংসদে মহিলা আসন সংরক্ষণ বিল উত্থাপন করা হয়েছিল।এই বিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল মহিলার জন্য লোকসভা এবং বিধান সভায় ৩৩% আসন সংরক্ষণ করা যাতে উচ্চ স্তরের আইন সভায় মহিলাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারা যায়।২০০৮ সালে পুনরায় ইউ পি এ সরকারের আমলে এই বিল উত্থাপন করা হয়েছিল। পুনরায় ২০১০ সালের ৯ মার্চে রাজ্য সভায় এই বিল গৃহীত হয় যদিও বা লোকসভায় তথাকথিত সর্বসন্মত মতামতের অজুহাত দেখিয়ে সেইসময় বিল গৃহীত করা হলো না। এন ডিএ সরকারে নির্বাচনের সময় মহিলার জন্য ৩৩% পরিবর্তে ৫০% প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের কার্যসূচিতে বিষয়টা সম্পূর্ণ অন্তর্ধান হয়ে গেল। বিলের এই ২৫ বছরের যাত্রায় দেশের রাজনীতিতে বহু পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সভায় গৃহীত ঐতিহাসিক মহিলা বিল এইবার গৃহীত করা জরুরী বিবেচনা করছে মহিলা সংগঠন সমূহ। মহিলা সংগঠনের দাবি অতি শীঘ্রই বিল উত্থাপন করা, আলোচনা করা এবং ভোট দিয়ে এই বিল গৃহীত করতে হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।