রাজ্য

জনগণের টাকায় দীঘায় জগন্নাথ মন্দির বানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার।


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ: ২১শে আগস্ট:–জনগনের টাকা তে মন্দির — মসজিদ বানানো যায়? দীঘাতে একটি বিলাসবহুল কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করতে মুখ্যমন্ত্রী এখন দীঘাতে।। হলের নাম “দীঘাশ্রী””।। এই প্রোগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী তার “” প্ল্যান”” ঘোষনা করেছেন।। তিনি এখানে জগন্নাথ মন্দির বানাবেন।। এই অর্থ আসবে কোথা থেকে? জনগনের করের টাকাতেই কি হবে মন্দির? কিন্তু প্রশ্ন -ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে সংবিধানের নামে শপথ নেওয়া কোন সরকার কি মন্দির—-মসজিদ—-গীর্জা বানাতে পারেন? মানুষের করের টাকা সরাসরি ধর্মীয় কাজে ব্যাবহার করা যায়??? উঠছে প্রশ্ন।। অযোধ্যার রাম মন্দির বানানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে।। দু— দিন পর জন্মাষ্টমী ——আর তা আড়ম্বরের সাথে পালন করবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।। এসব এর আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দীঘতে জগন্নাথ মন্দির বানানোর কথা ঘোষনা করলেন।। তার এই ঘোষনা কে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ।। এবার কি তাহলে মুখ্যমন্ত্রী নিজের কুর্শী বাঁচাতে ধর্ম কে হাতিয়ার করছেন?? মমতা ব্যানার্জী বলেন—-“” আমি জগন্নাথ দেবের ভক্ত।।।তাই তাঁর প্ল্যান এখানে একটা জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরী করেন, ——তিনি আরও বলেন –“” মনে রাখবেন যেখানে টুরিস্ট স্পট থাকে সেখানে একটা ধর্মীয় স্থানও থাকে”””।।। কিন্তু এখন প্রশ্ন এমন একটা তথ্য তিনি পেলেন কোথায়?? দীঘাতে মানুষ যখন তখন যায়।। পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র——সমুদ্রের টানেই যায়।।মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো তাহলে সুন্দরবন—–দার্জিলিং —–আগ্রা—–মানালী—-নৈনিতাল এসব জায়গায় যাবার আগে পর্যটকরা তো সেখানে মন্দির —-মসজিদ —- গীর্জা আছে কিনা তার খোজ করেন না কেউ। মমতার যুক্তিকে অত্যন্ত দূর্বল বলে মনে করছেন অনেক আমলাও।। পার্থ চ্যাটার্জী সহ অনেক তৃনৃমূল নেতাই মমতা ব্যানার্জী কে খুব কাছ থেকে চেনেন।। মুখ্যমন্ত্রীর অভ্যাস রাত করে ঘুমাতে যাওয়া —–কিন্তু ভোরে উঠে হাটতে যাওয়ার কোন রেকর্ড নেই।। সেটাই তিনি এদিন করেছেন।। ভোর তিনটের সময় উঠে তিনি সমুদ্র সৈকতে গেছেন।। তখন সৈকতে মানুষ জন থাকে না।।””জন-সংযোগ”” বলতে পারবেন না।।। মুখ্যমন্ত্রী কি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ??? তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন দার্জিলিং সমস্যা সমাধান করতে তিনি ব্যর্থ।। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই চওড়া হাসি হেসে তিনি ঘোষনা করেছিলেন সাতদিনেই এই সমস্যার সমাধান করবেন তিনি—–হয়নি।। মুখ্যমন্ত্রী আর‌ও বলেছেন দার্জিলিং নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন।। কিন্তু প্রতি দশ বছর পরপর যদি জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও হয়—–তাহলে সে জিনিস দাঁড়ায় না”””—— দীঘার পথে যাওয়ার সময় অনেক শাসকদলের নেতা কর্মীরা তোলা আদায় করে।। এদিন এটা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন—-“” আমি যেন না শুনি কোন পর্যটক বিরক্ত”।। ঘরের লক্ষীকে হাতছাড়া করতে নেই।এমন করেই দার্জিলিং নষ্ট হয়েছে””—— বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু দীঘাতে এমন একটা কনভেনশন হল বানানোর দরকার কি ছিল?? যা করতে সরকারি কোষাগার থেকে সাড়ে সাত কোটি টাকা বেরিয়ে গেছে।। এর উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি শুধু মানুষ কে খাটাবেন তা হয় না।। একটা অফিসার এর ব্রেন টাও একটু রিল্যাক্স করতে হয়।। আপনি দুদিন সেমিনার করুন —-একদিন সমুদ্রের হাওয়া গ্রহন করুন।। এটা কিন্তু কর্পোরেট হাউসরা করে।ইটস আ কমপ্লিট প্যাকেজ।। —-তিনি বলেছেন দীঘাতে একটা পোর্ট হোক।। সুন্দরবনেই এটা হওয়ার কথা—–ওটা ক্যানসেল ——–এখানে ইমিডিয়েট পোর্ট হবে।। তিনি বলেন গান্ধিজীর ১৫০ বছর পুর্তী হচ্ছে।। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মহিষাদলে।।। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সরকার এখানে স্মারক ও মিউজিয়াম করবে”””——- ” তার বক্তব্য শুনতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারি—–শিশির অধিকারি—–ববি হাকিম প্রমুখ——-


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।