রাজ্য

নির্মাণ কাজ শুরু হ‌ওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে পড়লো কর্মতীর্থের পাঁচিল।


শাশ্বতী ঘোষাল, চিন্তন নিউজ, ২১শে অগস্ট। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ই ভেঙে পড়লো “কর্মতীর্থ “র পাঁচিল ।
বাঁকুড়ার জয়পুরের হেতিয়ায় “কর্মতীর্থ ” প্রকল্পের পাঁচিলের একাংশ মাত্র কয়েকমাস কাজ শুরু হতে না হতেই ভেঙে পড়লো। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক যেমন শুরু হয়েছে তেমন জমির মালিকানা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের তরফে দাবী করা হয়েছে যে ঐ জমি হাসপাতালের। সেখানে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও স্থায়ী চিকিৎসকের ব্যবস্থা না করে ঐ জমিতে “কর্মতীর্থ ” তৈরি করা হচ্ছে কেন এ প্রশ্ন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বংশী দে বলেন যে এলাকার গরীব মানুষদের হাসপাতাল প্রয়োজন। নার্স ও কম্পাউন্ডার দিয়ে কাজ চালানো হয়। কিন্তু জরুরী প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় মানুষকে বিষ্ণুপুর বা বাঁকুড়ায় যেতে হয়। এই কারণেই অসীমানন্দ তীর্থ হাসপাতাল কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে এই জমি দান করেছেন। পরে দেখা যায় সেখানে পাঁচিল তৈরির কাজ চলছে তবে তা হাসপাতালের জন্য নয়। কর্মতীর্থ তৈরীর জন্য।
শাসক দলের নেতা, স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এ কথা অস্বীকার করেছেন।
বিতর্কিত জমিতে কিভাবে রাজ্য সরকারী প্রকল্পের কাজ শুরু হলো এবং জমিই বা কোন কৌশলে হস্তান্তরিত হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির জয়পুর মন্ডল –১ র সম্পাদক নবকুমার চক্রবর্তী।
কোতুলপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন ঐ জমি স্বামিজী সরকারকে দান করেছেন। স্বাস্থ্য দফতরকে নয়। তাছাড়া পাঁচিল ভেঙে পড়ার সঙ্গে তাঁর দলের কেউ যুক্ত নন। যে ঠিকাদার কাজের বরাত পেয়েছেন তাকে ডেকে পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।