জেলা

জলপাইগুড়ি জেলার খবর


মানব অধিকার কর্মীর তিস্তা শীতলাবাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মহিলাদের প্রতিবাদ ।

চিন্তন নিউজ:-সুস্মিতা গুহ:,৪ জুলাই:-
অবিলম্বে অগ্নিপথ এর নামে সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করা, মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শীতলাবাদকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান এর দাবিতে জলপাইগুড়ি শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি । জেলা দপ্তরের সামনে একত্রিত হয়ে থানা মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা রীনা সরকার, মহিলা নেত্রী দীপালি মিত্র, মমতা রায়, নিরুপমা ঘোষ, তাপসী সরকার, পিয়ালী গুহ রায়, সুস্মিতা গুহ সহ মহিলা নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ জানান সরকার যেভাবে প্রতিবাদ করলেই প্রতিবাদীদের কণ্ঠ রোধ করছে তা জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দেয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে সমাজকর্মী তিস্তা শিতলাবাদের মুক্তি দিতে হবে, অগ্নিপথের নামে সেনাবাহিনীতে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ করা চলবে না। প্রতিবছর গোটা দেশের বহু ছেলে মেয়ে সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে তাদের পেটে লাথি মারার বিজেপি সরকারের ঘৃণ্য চক্রান্তকে ভারতবর্ষের মানুষ ব্যর্থ করবেই ।

সংগঠন ভাঙানোর শাসকদলের ঘৃন্য চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল জলপাইগুড়িতে।

দীপশুভ্র সান্যাল: ৪জুলাই:-
গত শনিবার জলপাইগুড়িতে শাসকদলের অনুগামী সরকারি কর্মচারী সংগঠন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মী সংগঠনের সভায় শাসকদলের নেতৃত্বরা রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে অগণতান্ত্রিকভাবে ভাঙ্গার হুমকি দেন। সেই ঘৃণ্য হুমকির বিরুদ্ধে সোমবার রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও ১২ ই জুলাই কমিটির ডাকে যৌথভাবে রক্ত পতাকায় সুসজ্জিত ‘ধিক্কার মিছিল’ বীরদর্পে জলপাইগুড়ি শহরের মূল অংশ পরিক্রমা করে। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে “হুমকি দিয়ে ধমকি দিয়ে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ভাঙ্গা যায়নি যাবেনা, ভয় দেখিয়ে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে ভাঙ্গা যায় নি, যাবে না।”
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি জলপাইগুড়ি জেলা শাখা সম্পাদক মনোজিৎ দাস এবং জেলা ১২ই জুলাই কমিটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক বানীব্রত সাহা যৌথভাবে বলেন যে, জেলার শাসক দলের পক্ষ থেকে অনুগামী কর্মচারীদের সভা থেকে যেভাবে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও পঞ্চায়েত যৌথ কমিতির সাথে থাকা কর্মচারীদের একপ্রকার হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।রাজ্য কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত সর্বস্তরের কর্মচারী,শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা পঞ্চায়েত স্তরের কর্মচারী সহ সীমাহীন আর্থিক বঞ্চনার মধ্যেও নিরলস ভাবে
জনগণের কাজ করে চলেছেন। রাজ্য সরকার যে সাফল্যের খতিয়ান জনগণের কাছে হাজির করছে সেটা সম্ভব হত না কর্মচারীদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ব্যতিরেকে ।আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ব্যপকতম অংশের কর্মচারী সংগ্রামে সামিল হচ্ছেন।তাই কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত দাবী আদায়ের আন্দোলনে,শাসক দলের অনুগত কর্মচারী নেতৃত্ব প্রশাসনকে সঙ্কীর্ণ স্বার্থে ব্যবহার করে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর এই ধরনের হুমকি এবং আক্রমনকে প্রতিহত করেই রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে।খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের হুমকিও কর্মচারী বন্ধুরা ঘৃণার সাথে প্রত্যাখান করেছে।
আমরা রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং এই ধরণের ঘৃণ্য হুমকিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করছি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।