বিদেশ

বলিভিয়ার নির্বাচনে চতুর্থবার জয়ী ইভো মোরালেস।


শাশ্বতী ঘোষাল:চিন্তন নিউজ, ২৩ শে অক্টোবর। বলিভিয়ার নির্বাচনে চতুর্থবার জয়ী ইভো মোরালেস। গত রবিবার (20.10.19) শেষ হয় বলিভিয়ার ভোট গ্রহণ পর্ব। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। প্রথম রাউন্ডেই সরাসরি জয়। টানা চতুর্থ বারের জন্য বলিভিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন ইভো মোরালেস।

রবিবার নির্বাচনের পর ৯৫.২২ শতাংশ ভোট গণনার শেষে জানা যায় মুভমেন্ট টু সোস্যালিজম পার্টির প্রার্থী মোরালেসের পক্ষে সমর্থনের হার ৪৬.৮৬ শতাংশ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উদারবাদী মধ্য দক্ষিণ পন্থী সিটিজেন কমিউনিটি পার্টির নেতা কার্লোস মেসা পেয়েছেন ৩৬.৭৩ শতাংশ ভোট। বলিভিয়ার সংবিধান অনুযায়ী প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনে যদি কোনো প্রার্থী নিকটতম প্রার্থীর থেকে অন্তত ১০ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে তাহলে আর দ্বিতীয় রাউন্ডের কোনো দরকার নেই। এক্ষেত্রে মোরালেস ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকার জন্য চতুর্থ বারের জন্য সরাসরি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এটা স্পষ্ট হয়ে যায়। ফলে ডিসেম্বরের রান অফ্ ভোটের আর দরকার হচ্ছে না।

বিবিসি সূত্রে খবর ,প্রেসিডেন্ট মোরালেস পুনর্নিবাচিত হতে যাচ্ছেন, এমন ধারণা জোরালো হওয়ার পর থেকেই বলিভিয়ার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়ে যায়। প্রতিদ্বন্দ্বী কার্লোস মেসা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই মানুষকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হতে বলেন। কয়েকটি জায়গায় পুলিসের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধ। বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা দুটি শহরের নির্বাচনী দপ্তরে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।

ওয়াশিংটনের মদতে চলা আঞ্চলিক ব্লক অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস নির্বাচনের ফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে বলিভিয়া কর্তৃপক্ষ ভোটকে পদদলিত করতে চাইছে। এদের লক্ষ্য স্পষ্ট, বলিভিয়া তে অস্থিরতা তৈরি ও যেন তেন ভাবে কার্লোস মেসাকে ক্ষমতায় ফেরানো এবং বলিভিয়াকে দুর্বল করে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা ।

এক সাংবাদিক বৈঠকে মোরালেস এই জয়কে ঐতিহাসিক জয় বলে ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে তারা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে এই জয় লাভ করেছেন। তিনি চান উন্নত বলিভিয়ার রাষ্ট্রপতি হতে। ২০০৬ থেকে একটানা প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোরালেস বলিভিয়ার ক্ষমতায় আছেন। এবারের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ২০২৫ পর্যন্ত তিনি বলিভিয়ার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হবেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।