দেশ

ভারতের বিদেশ নীতি কি ক্রমশ কাগুজে বাঘ হয়ে পড়ছে ?


চিন্তন নিউজ:একটি বিশেষ প্রতিবেদন : মধুমিতা ঘোষ :০১/১১/২০২৩:- আট প্রাক্তন ভারতীয় নৌ-সেনা আধিকারিকের মৃত্যু দন্ডাদেশ কাতার আদালতে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী ইজরায়েলের হয়ে চরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত করা হয় এই আটজন ভারতীয় প্রাক্তন নৌ-সেনা কর্মীকে যারা তাদের কর্ম জীবনে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এবং ভারতের প্রথম সারির যুদ্ধ জাহাজ গুলোতে নিযুক্ত ছিলেন।

মধ্যবয়সী অবসরপ্রাপ্ত এই সেনাকর্মীরা কাতারে দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস এন্ড কনসালটেন্সি সার্ভিস নামে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাতারের সেনাবাহিনী কে (যেখানে অনেক ভারতীয় সেনাও আছে) প্রশিক্ষণ এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবা দেবার কাজে দক্ষতা লাভের শিক্ষা দিতেন।
কাতার প্রশাসন গতবছর আগস্টে এদের গ্রেফতার করে  ইজরায়েলের হয়ে গুপ্তচরগিরি করার অজুহাতে। বারংবার জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে অবশেষে সারা দেশকে স্তম্ভিত করে গত বৃহস্পতিবার বিদেশের মাটিতে একসাথে সবার ফাঁসি র আদেশ হয়।
নিঃসন্দেহে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে এতজন ভারতীয় সেনাআধিকারিকের এইরকম চরম শাস্তির নির্দেশ নজিরবিহীন।
কিন্তু এই এতমাস ধরে আমাদের মোদী সরকার,( সেনাবাহিনীর গর্বে যাঁর ৫৬ ইঞ্চি ছাতি ফাটার উপক্রম হয়, তাদের শোকে, দুঃখে অবিরত কুম্ভীরাশ্রু নির্গত হয়, পুলোয়াবামার সেনামৃত্যু তার প্রমাণ), উচ্চমানের বিদেশমন্ত্রক,কি করছিলেন সবাই! জনসমক্ষে তো সবটাই অপ্রকাশিত ছিল। গনতান্ত্রিক এই দেশে সব খবরাখবর ঠিকমতো জানানোর দায় সেই সরকারের। এদেশে অবশ্যই মোদী সরকারের গদি মিডিয়া তা পালন করে ভোট- রাজনীতির নিরিখে।
এখন ইজরায়েল – হামাস যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে।গাজায় ইজরায়েলি  অভিযানের বিরোধিতা করেছে ইরান,ইরাক, সৌদি আরব, সিরিয়ার মতো দেশ। এবার সেই সঙ্ঘাতের প্রভাব পড়লো ভারতের ওপর। কাতারের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরে রাখার দায় দু দেশের ওপরেই বর্তায়।
এই মর্মান্তিক শাস্তির খবরে হতবাক ভারত আশায় বুক বেঁধে তাকিয়ে আছে মোদী সরকার ও তার বিদেশ-দপ্তরের পরবর্তী ইতিবাচক নড়ন- চড়নের দিকে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।