দেশ

কাশ্মীরে নেট ও ফোন পরিষেবা চালু হ‌ওয়ার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই আবার বন্ধ করে দেওয়া হ’ল।


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১৮ই আগস্ট:–জম্মুতে চালু হয়েই ফের বন্ধ ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা, প্রশাসনের কড়া নজরে পাঁচ জেলা
দীর্ঘ
১৪ দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে‌‌কঠোরনিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি রয়েছে।বিধিনিষেধের কড়াকড়ি টেলিফোন ইন্টারনেট নিয়েও। তবে খুব বড় আকারের কোনও সংঘর্ষ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস ও ইদের অনুষ্ঠান উপত্যকায় সম্পন্ন হওয়ার পরেই প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গোটা উপত্যকায় ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ তোলা হবে। বেশ কিছু জায়গায় শিথিল হয় কার্ফু। শনিবার ওই পাঁচটি জেলায় ২জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়, চালু হয় টেলিযোগাযোগও। কিন্তু সন্ধে থেকেই জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। সরকারি মুখপাত্র রোহিত কানসালের বয়ান অনুযায়ী, ছয় জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে শুধু শনিবারই। পুলিশ এবং বিক্ষুব্ধ জনতার থণ্ডযুদ্ধে আহতও হয়েছে আট জন। উপত্যকার নানা হাসপাতালগুলিতে ভর্তি রয়েছেন এই আহত নাগরিকরা। প্রশাসনের অনুমান, নেট পরিষেবা চালু হতেই সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তার জেরেই এই হিংসার ঘটনা ঘটছে। ফলে উত্তেজনা রুখতেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফের বিধিনিষেধ আরোপেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

প্রসঙ্গত শনিবারই ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা আংশিক ভাবে ফিরেছিল জম্মুতে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল সেখানকার পাঁচটি জেলায়। জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, উধমপুর, রিয়াসি এলাকায় ২জি ইন্টারনেট এবং টেলিফোন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া এবং বিক্ষোভ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।এভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কতদিন দমিয়ে রাখা যাবে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ। এত বাধানিষেধে কাশ্মীরের সাধারণ জীবন বিপর্যস্ত।
আজকের ঘটনা অনন্তনাগ কাজিগুন্দের বাসিন্দা শামীমা তাঁর অসুস্থ স্বামী গুলাম-যাঁর ডায়ালাইসিস চলছে,অসুস্থ বোধ করায় ১০ঘন্টা পায়ে হেঁটে শ্রীনগর হাসপাতালে পৌঁছান। রাস্তায় কোনো গাড়ি পাননি। শামীমার বক্তব্য এভাবে প্রতি সপ্তাহে ঐ অসুস্থ মানুষ নিয়ে আসা সম্ভব ? এ অবস্থায় মৃত্যু কি একমাত্র পথ ? কাশ্মীরের জনজীবন বিভিন্নভাবে বিপর্যস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হ‌ওয়ার দায় কার? সাধারণ মানুষের কি কোনো মূল্য নেই রাষ্ট্রের কাছে?প্রশ্ন উঠছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।