চিন্তন নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদন, কল্পনা গুপ্ত, ২৮ জানুয়ারি ২০২২- পৃথিবীর দুর্নীতিগ্রস্ত ও দুর্নীতিমুক্ত দেশের তালিকা কয়েকবছর ধরে প্রকাশ করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের তালিকানুসারে করোনাকালে দুর্নীতিমুক্ত দেশের তালিকায় প্রথমে রয়েছে ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও সুইডেন। আবার দুর্নীতি পরায়ণতায় এগিয়ে ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন,সিরিয়া,সোমালিয়া ও দক্ষিণ সুদান। দুর্নীতিতে ১৮০ টি দেশের তালিকায় ভারতের স্থান ৮৫। দুর্নীতিযুক্ত দেশের স্থান ক্রমশ ‘০’ এর দিকে এবং দুর্নীতি পরায়ণতার ক্রমানুসারে ‘১০০’ দিকে দেশগুলির অবস্থান থাকে। সেখানে ভারতের স্থান ২০১৯ এ ছিলো ৮০ তে। রিপোর্টে বলা হয়েছে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ দেশগুলিতে করোনার সময়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই বেশি কার্যকরীভাবে চালানো গেছে। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির অবস্থানও ভালো নয়, ভুটান ছাড়া। ১৮০টি দেশের তালিকায় পাকিস্তান ১২৪ নম্বরে, চিন ৭৮, নেপাল ১১৭, বাংলাদেশ রয়েছে ১৪৬ এ। এছাড়া খোদ আমেরিকার অবস্থা ৬৭।
বিগত বছরে ভারতের স্থান ছিলো ৮৬ তে, এইবারে তা দাঁড়ালো ৮৫ তে। গদিতে বিসে নরেন্দ্র মোদির দেশকে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত রাখার প্রথম পদক্ষেপ ছিলো ডিমানিটাইজেশন। তা সত্ত্বেও স্থান ৮৫ তে। এই ঘটনা অস্বস্তি বাড়ালো মোদি সরকারের।
টি আই তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সমাজের বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ত্ব ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বারবার। রাজনৈতিক দুষ্কৃতি এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মীদের দ্বারা সমাজ আক্রান্ত। রিপোর্টে এছাড়াও বলা হয়েছে, হিংসাত্মক বক্তব্য, মানহানি, আদালত অবমাননা ও বিদেশি তহবিল বিষয়ক মামলাও এক অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে চলেছে।
ডেনমার্কের মতন দেশে,তাদের দেশের উৎপাদনের ৫৬% সাধারণের কাজ ও পরিষেবায় খরচ করে। ভারত এই লক্ষ্যে গড়ে এর ৪ শতাংশও খরচ করতে পারে না।এই পরিমাণগুলোও দুর্নীতিগ্রস্তদের দ্বারা পরিচালিত হয়।