রণদীপ মিত্র: চিন্তন নিউজ:২৮শে জানুয়ারি:– রক্তাক্ত খয়রাশোলের গঙ্গারামপুর চক, হজরতপুর, সাগরভাঙা, এখানে থাকা খোলামুখ কয়লা খনি থেকে কয়লা তোলে পিডিসিএল। যায় তাপবিদ্যূৎ কেন্দ্রে। কয়লা তোলা আর সরবারহের মাঝেই বড় অংশের কয়লা স্রেফ লুট হয়ে যায়। লুটের কয়লা চলে আসে মাফিয়াদের ডিপোয়। তেমনই এক ডিপো লোকপুর থানার নাকড়াকোন্দা পঞ্চায়েতের নওপাড়া ক্যানেলপাড়ের শাল জঙ্গল। সেখানেই মজুদ রয়েছে প্রচুর বেআইনী কয়লা, এমনই খবর পেয়ে পুলিস এদিন গিয়েছিল তা বাজেয়াপ্ত করতে। বাজেয়াপ্ত করা কয়লা দুটি ডাম্পারে তুলে তা নিয়ে আসা হচ্ছিল থানায়। সেই নিয়ে আসার পথেই আচমকা বাধার মুখে পড়ে পুলিস। পুলিসের অভিযানের খবর চাউর হ’তেই জড়ো হয়ে যাওয়া দুষ্কৃতিরা পুলিসকে লক্ষ্য করে ছুঁড়তে থাকে ইঁট পাটকেল। পুলিসও পাল্টা শুরু করে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ছোঁড়া। এমনকি গুলিও ছোঁড়ে পুলিস বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বর্তমানে চরম উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা। পুলিস তার বাহিনী নিয়ে রয়েছে এক প্রান্তে।
অপরদিকে নিজেদের ডেরায় জমায়েত হয়ে রয়েছে কয়লা কারবারী বলে শেষ খবর পাওয়া গেছে। এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ‘‘পুলিস আর শাসকদলই তো এদের দাপট বাড়িয়েছে। কয়লা কারবারীরা পুলিস, শাসকদলকে রীতিমত পয়সা দিয়েই তো আজ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’’’ বীরভূমের পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির বক্তব্য, ‘‘পুলিস অভিযান চালিয়ে ৫০ টনের মত কয়লা বাজেয়াপ্তও করে নিয়ে আসার সময় কিছু দুষ্কৃতি পুলিসকে লক্ষ্য করে ইঁট, পাটকেল ছোঁড়ে। তাতে পুলিসের কয়েকজনের সামান্য লেগেছে। মামলা রুজু করে ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’