অনুপম মিশ্র, চিন্তন নিউজ, ২৫ সেপ্টেম্বর: বতর্মান বিজেপি সরকার কিছুদিন আগেই লখনউ, মুম্বাই, আমেদাবাদ ও তেজস রেল পরিষেবা তুলে দিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আই.আর.সি.টি.সি.-র হাতে। এছাড়াও রেলের খাবার, টিকিট, ইন্টারনেট, সাফাই ব্যবস্থাও চলে গেছে বেসরকারি সংস্থার অধীনে। ধীরে ধীরে সমগ্র রেল পরিষেবা বেসরকারি হাতে ছেড়ে দিতে চাইছে বতর্মান নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার।
রেলকে বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় রেল। অন্তত সূত্রের খবর তেমনটাই। আগামী শুক্রবার দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছে ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা। এ বৈঠকে হাজির থাকবেন একাধিক শাখার জেনারেল ম্যানেজার এবং প্রিন্সিপাল চিফ অপারেশন্স ম্যানেজাররা
সূত্রের খবর আগামী ২৭ তারিখ বিভিন্ন জোনের আধিকারিকদের নিয়ে একটি মিটিং ডাকা হয়েছে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য। সেখানে আলোচনা হতে পারে কলকাতা, মুম্বাই, হায়াদ্রাবাদ সহ বেশ কয়েকটি শহরের লোকাল ট্রেন পরিষেবার বেসরকারিকরন নিয়ে। রেলের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৩০-৩২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র সরকার। এই ভর্তুকি তুলে দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
ভারতীয় রেলকে ভারতের জীবনরেখা বলা হয় দেশের মানুষকে বৃহৎ পরিষেবা দানের জন্য। কিন্তু বেসরকারি হাতে রেল ব্যবস্থা চলে গেলে সংকটে পড়বে বহু মানুষ। তার সঙ্গে সংকটে পড়বে প্রায় ১৩ লক্ষ রেল কর্মচারিবৃন্দ। বন্ধ হযে যেতে পারে বৃদ্ধ, শিশু ও রেল কর্মচারীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। ভাড়া বৃদ্ধির ফলে সাধারণ গরিব মানুষেকে সংকটের সম্মুখে পড়তে হবে।