দেশ

বিশ্বব্যাংকের মতে, অর্থনীতির নিম্নগতিতে সঙ্কটে ভারত।


চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১৫ই অক্টোবর:– বিশ্বব্যাংকের মতে অর্থনীতির নিম্নগতিতে সঙ্কটে ভারত। সত‍্যিটা মানতে দ্বিধাগ্রস্ত সরকার কারন বিশ্বব‍্যাঙ্কের মত অর্থনীতির গুরুতর নিম্নগতির কারনে কমছে এই বৃদ্ধির হার।বিশ্বব‍্যাপী মন্দার কারনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো।অর্থনীতির বৃদ্ধিকে চাঙ্গা করতে রিজার্ভ ব‍্যাঙ্ক বারংবার সুদ কমানো সত্বেও বাড়েনি বৃদ্ধির সূচক।কমেছে আভ‍্যন্তরিন উন্নয়নের হার(জিডিপি)।এই অবস্থায় বিশ্বব‍্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাস এক ধাক্কায় কমিয়ে ৭.৫% থেকে ৬% করে দেয়।কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনীতির এই দেউলিয়া অবস্থা মানতে নারাজ।তার ফলেই উৎপাদন বৃদ্ধি কমার কারন হিসেবে কেউ বলছে সিনেমা কত কোটির ব‍্যাবসা করেছে অথবা এ্যাপ ক‍্যাবে চড়ার ফলে গাড়ির বিক্রি কমার মতো কমার হাস‍্যকর সব তথ‍্য। 

                          
           প্রকৃতপক্ষে এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির সরকারি হারই মাত্র ৫%। ভারতীয় রিজার্ভ ব‍্যাঙ্ক ও এই বৃদ্ধির হারকে ৬% বেশী বলতে নারাজ।বৃদ্ধির এই অধোগতি গত ছবছরের মধ‍্যে মধ‍্যে সর্বনিম্ন।এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নামছে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির সূচক।


একদিকে বৃদ্ধির হার হ্রাস অপর দিকে মানুষের চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতা কমার ফলে অবস্থা হয়েছে আরও ভয়াবহ।ভারতীয় অর্থনীতির এই ধুঁকতে থাকা অবস্থা  প্রায় সর্বক্ষেত্রে ই।উৎসবের মরশুমে ও বাড়েনি বিক্রীবাটা,গাড়িশিল্পের মন্দা ও  কয়েকলক্ষ কর্মী ছাঁটাই ভারতীয় অর্থনীতির কঙ্কালসার চেহারা আরও প্রকট করেছে।


শীর্ষব‍্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর  রঘুরাম রাজনের মতে ভারতের অর্থনীতি যে একবারে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং পরিস্থিতি  কতটা সঙ্গীন ,সেকথা কেন্দ্রীর সরকার হয় বুঝতে পারছেন না,অথবা না বোঝার ভান করছে।এর কারন এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো রাস্তা মোদী সরকারের জানা নেই।রাজকোষ ঘাটতি কে একটা সীমারেখায় বেঁধে রাখার কথা বললেও সেই হিসেবে কারিকুরিতে  রয়েছে বিস্তর গোঁজামিল।


এর উপর রয়েছে পূর্বঘোষিত সব প্রকল্প ,যেগুলোর দায় কেন্দ্র নিতে বাধ‍্য,।অপরদিকে রাজকোষে ঘাটতি যা জিএসটি আদায়ে লক্ষমাত্রা পূরন না হওয়ার ফলে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।এই ঘাটতি পূরন করা কিভাবে সম্ভব সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।


বিশ্বব‍্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবেশী বাঙলাদেশ, ভারত,পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার থেকে দ্রুত এগোচ্ছে।এর কারন হিসেবে ঐ দেশের শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানিই কারন বলে মনে করা হচ্ছে।অপরদিকে নেপালে পরিষেবা ও নির্মাণক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে।প্রকৃতপক্ষে মন্দা থেকে রেহাই পেতে কর্পোরেট করে ছাড় দেওয়ায় বেড়েছে প্রত‍্যক্ষ কর আদায়ে ঘাটতি, যা থেকে মুক্তি পেতে জেরবার ভারত।শুধুমাত্র সার্বিক বিকাশের বুলি আউড়ে যা সম্ভব নয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।