দেশ

প্লাস্টিক কুড়োন শকুন্তলা দের সংখ্যা বাড়ছে শহরে।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১৫ই অক্টোবর:–। প্রধানমন্ত্রী মোদী দামী স্যুট পড়ে বস্তাবন্দি করছেন রাস্তায় পড়ে থাকা প্লাস্টিক সেই ছবি দেখেছে গোটা দেশ,কিন্তূ শকুন্তলারা দেখেনি কারণ সে কাগজ পড়ে না।। তিনি কাগজ কুড়ানোর কাজ টাই করেন।। প্রধানমন্ত্রি মোদীর কাগজ কুড়ানোর ছবি অনেকে তোলে কিন্তু শকুন্তলাদের কাগজ কুড়ানোর ছবি কে তুলবে? শকুন্তলারা কি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের শরিক নন?? রাস্তাতে পড়ে থাকা প্লাস্টিক , কাগজ, বোতল কুড়ানো টাই যে তাদের জীবিকা।। যখন প্রধানমন্ত্রী কাগজ কুড়াচ্ছেন তখন তাঁঁর অঙ্গে কোটি টাকার পোশাক আর শকুন্তলাদের পোশাক শতছিন্ন, অনেক দিন না কাচা,খাটো হয়ে গেছে লম্বাতে।

বীরভূমের সিউড়ি শহর ছাড়িয়ে সাঁইথিয়া যাওয়ার পথে কুলেড়া গ্রামের শকুন্তলা এখনও উজ্জ্বলা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে ঘরও পায়নি। তার রান্নার ভরসা সেই চুলা,কাঠ, কয়লা।।। কথা বলার সময় নেই তার ক্ষিপ্রতার সঙ্গে কাগজ কুড়াচ্ছেন সঙ্গী রেখা কোড়ার সাথে।। কথা বলতে চাইলে বেশ বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলেনবললেন””ঘরে দশ বছর এর ছেলে, স্বামী স্ত্রী দুই জন মিলেই দিনমজুরি করি।। লোকের বাড়ি ফাইফরমাস খাটি ।। কিন্তু সেই কাজেও আর ডাকে না কেউ।।। তাই বাধ্য হয়ে এই কাজ করতে হয়।।”””

মনিবের বাড়িতে সারাদিন কাজ করলে খাওয়া ছাড়া ২০০/২৫০ টাকা পান।। কিন্তু এখন ওই কাজের বড্ড আকাল। তাই সকাল থেকে পিঠে বস্তা নিয়ে শহর ঘুরে ঘুরে রুটি রুজি সংস্থানের জন্য প্লাস্টিক , বোতল কুড়ানোর কাজ করেন।। সঙ্গী রেখা কোড়া আরো বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলেন “” ঘরে নাতি পুতি নিয়ে ছয় সাত টা পেট।। কি করে চলবে??মুনিষ খেটেও মেলে না।।””

কিন্তু এখন একশো দিনের কাজের মজুরি ১৯১ টাকা।। গ্রামে কি কাজ নেউ প্লাসটিক , কাগজ কুড়ানোর দরকার কি??? দু জনেই বললেন হ্যাঁ জব কার্ড আছে কিন্তু শেষ কবে কাজ করেছেন মনে পড়ছে না।। এখন শহরে “”কাগজ কুড়ানীর সংখ্যা বাড়ছে কারণ গ্রামে কাজ নেই।।যা প্রধানমন্ত্রী শখের জন্য করেনশখ পুরণ করতে কোটি টাকা খরচ করে প্রচার করা হচ্ছে আর সেটাই তাদের জীবিকা নির্বাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।। বীরভূমের জেলা সম্পাদক শেখ সুলতান বললেন””নানান কারণে একশো দিনের কাজের হাল খারাপ। নানা সমস্যায় বঞ্চত হচ্ছে গরীব রা””


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।