দেশ রাজনৈতিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

অক্লান্ত রানার কমরেড ঐশী ঘোষ : অনির্বান বসু


চিন্তন নিউজ, ৯ সেপ্টেম্বর: দুর্গাপুর থেকে দিল্লী। দূরত্ব ১,৩৪৭ কিলোমিটার। আসমুদ্র হিমাচল গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। বহু মানুষ যখন যেভাবে পেরেছেন, শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক। ৩০ বছর পর JNU র ছাত্র সংসদ নির্বাচনে, এস এফ আই থেকে সভাপতি নির্বাচিত হলেন কোন এক বঙ্গসন্তান। কমরেড অভিজিৎ মজুমদারের পর, কমরেড ঐশী ঘোষ। মাঝে ৩০ টা বছর। লড়াইটা সহজ ছিল না।

লড়াইটা কমরেড ঐশী ঘোষের সহজ ছিল না। দুর্গাপুর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেই দিল্লীতে। সেখানে প্রথমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক। তারপর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে M.A, আর এখন JNU তে এম.ফিল দ্বিতীয় বর্ষ, বিষয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।

দুর্গাপুরের সন্তান। বঙ্গসন্তান। দুর্গাপুর মানে লড়াইয়ের জায়গা। প্রতিরোধের মিশেল দুর্গাপুর। আগে একটাই জেলা ছিল। এখন ভাগ হয়ে পূর্ব আর পশ্চিম বর্ধমান। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর। সেখানেই জন্ম, বেড়ে ওঠা ঐশী ঘোষের। লড়াইটা তাই প্রথম থেকেই তাঁর রক্তে, তাঁর মজ্জায়। প্রতিরোধের মেজাজে বড় হওয়া দুর্গাপুর থেকেই।

তাই বুঝে নিতে, যুঝে নিতে সমস্যা হয়নি। JNU তে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে গেছে তখন। বিজয় মিছিল শুরু হবে। বিজয় মিছিলে পা মেলাবে ঐশী ঘোষ। আরও অনেক আগামীর ঐশী ঘোষরা তখন বিজয় মিছিলে পা মেলাবে। বিজয় মিছিলে পা মেলানোর আগে, ঐশী ঘোষের শেষ কথা – “আরও পড়বো, আরও লড়বো, আর সিরিয়াসলি রাজনীতিটা করবো। ঐক্যবদ্ধ মানুষের জয় সুনিশ্চিত।”

ব্যাস এইটুকু বলেই মিছিলে মিলিয়ে গেলেন কমরেড ঐশী ঘোষ। বড় দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।
একদিকে ছাত্রছাত্রীদের দাবী দাওয়া নিয়ে লড়াই আন্দোলন সংগঠিত করা, ক্যাম্পাস বাঁচানো, অন্যদিকে আরও অনেকগুলো ঐশী ঘোষদের তৈরি করা। সেই দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই মিছিলে মিলিয়ে গেলেন কমরেড ঐশী ঘোষ। অক্লান্ত রানার কমরেড ঐশী ঘোষ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।