দেশ রাজ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক, বাম ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থাকায় জেলবন্দি হয়েছিলেন!!


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১৫ই অক্টোবর:–অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র জীবনে বাম আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। প্রেসিডেন্সির ছাত্র, পরে জেএন‌ইউ স্কলার।

জেএনইউ ক্যাম্পাসকে দেশদ্রোহের আখড়া বানানোর অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়েছিল তিন বাম ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্যদের,তখনই অভিজিৎবাবুর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সেখানে তিনি বলেন, “১৯৮৩তে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়নি ঠিকই, তবে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।”ওই সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, “ছাত্র আন্দোলন বাম ঘেঁষা ছিল বলে ওই পুলিশি কার্যকলাপকে পিছন থেকে সমর্থন করেছিল কেন্দ্রের কংগ্রেসি সরকার।”

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে জেল খেটেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৮৩ সালে তাঁকে আর তাঁর এক বন্ধুকে জেলে পাঠানো হয়েছিল খুনের চেষ্টার অভিযোগে।২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে- এমনই জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী।

অভিজিৎবাবু ঐ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ভর্তি প্রক্রিয়া বদলানোর দাবিতে আন্দোলন হ’চ্ছিল। ছাত্রছাত্রীদের ফি এতটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তা সামলানো গ্রামীণ এলাকা থেকে পড়তে আসা ছেলেমেয়েদের কাছে অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তৎকালীন ছাত্র সংসদ প্রতিবাদ করায় সংসদ সভাপতিকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তখনই ছাত্র আন্দোলন আরও তীব্র হয়।” তাঁর কথায়, “সেই আন্দোলন দমন করতেই পুলিশ ঢোকে ক্যাম্পাসে।এবং আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের মারতে মারতে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়, এই আন্দোলনকারীদের অন্যতম ছিলেন আজকের নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দেহ নেই এতে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদত ছিল।

অভিজিৎবাবুর মা সোমবারই জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় বস্তির ছেলেদের সঙ্গে রাস্তায় খেলতেন অভিজিৎ। পরিবার আটকায়নি। সেই সময় থেকেই গরিবী, অভাব এসব নিয়ে কৌতূহল ছিল। যত পথ এগিয়েছে অভিজিৎ বিনায়ক,গরিবী নিরসনের উপায় পাওয়ার সন্ধানে এগিয়েছেন। তাই গ্রামীণ ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত ফি-র বোঝা তাঁকে হয়তো অমোঘ তাগিদেই আন্দোলনের সামিল করে দিয়েছিল। ৮৩-তে জেলে যাওয়া অর্থনীতির ছাত্র,আজকের নোবেলজয়ী, বাঙালির গর্ব অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।