দেশ

এবার বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ নিচে নামল ভারত


স্বাতী শীল:চিন্তন নিউজ:২৪শে জানুয়ারি:–নাগরিক বা ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে বলে সারাদেশে যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, রাজ্যে রাজ্যে সংঘটিত হচ্ছে গণআন্দোলন, তখন পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে এবার বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ১০ ধাপ নিচে নামল ভারত। ২০১৯ সালে তালিকা অনুযায়ী ১৬৭ টি স্বাধীন দেশের মধ্যে বর্তমানে ৫১ নম্বরে ভারতের অবস্থান,যা ২০১৮ সালে ছিল ৪১ নম্বরে। এই পতনের জন্য ভারতের নাগরিক অধিকার খর্ব হওয়াকেই মূলত দায়ী করেছে ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা সংক্ষেপে ই আই ইউ।

বিশ্বের কোন দেশের নাগরিক আইন ঠিক কতটা সুরক্ষিত,রাজনৈতিক সংস্কৃতি কেমন,দেশের সরকার কতটা সক্রিয়,দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ,দেশের মানুষ রাজনীতির সঙ্গে ঠিক কতটা যুক্ত, তা বিচার করে ২০০৬ সাল থেকে গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করে আসছে এ আই ইউ।২০১৯ এ এই সূচক অনুযায়ী ভারত পেয়েছে ১০ এ ৬.৯,অথচ যেখানে ২০১৪ সালে ভারত ছিল ১০ এ ৭.৯১।২০১৭ এবং ২০১৮ এ ছিল যথাক্রমে ৭.২৩ এবং ৭.৮১।
প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি দেশের জন্য মোট চারটি বিভাগ তৈরি করেছে ইআইইউ।এগুলি হল,,পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, মিশ্র শাসন ব্যবস্থা এবং স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা। এই ত্রুটিপূর্ণ গনতন্ত্র বিভাগে ৫১ নম্বরে স্থান পেয়েছে ভারত।

এই পতনের কারণ হিসেবে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক কিছু হঠকারী সিদ্ধান্ত কে দায়ী করেছে ই আই ইউ, যার মধ্যে অন্যতম হলো ভারত সরকারের জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত নীতি।সরকারি আদেশে ৩৭০ধারা বিলোপ করার আগে উপত্যকায় বিশাল সংখ্যক সেনা নামানো হয় এবংস্থানীয় নেতা ও সাধারণ মানুষকে গৃহবন্দি করার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় নেট পরিষেবাও।এর পাশাপাশি উঠে আসছে সি এ এ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কথাও। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সারাদেশের মানুষ।সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতেও এই ঘটনা ইন্ধন যুগিয়েছে বলে মনে করেছে ই আই ইউ।

এই তালিকার অন্যান্য দেশ ও তাদের প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী তাদের স্থান গুলি হল;; গণতন্ত্র সূচক তালিকায় এবারে শীর্ষস্থানে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় স্থানে আইসল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন। চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ড। পঞ্চম স্থানে ফিনল্যান্ড। ১০ এ মাত্র ২.২৬ পেয়ে ১৫৩ তম স্থানে রয়েছে চিন।১০৮ নম্বরে পাকিস্তান।শ্রীলঙ্কা ৬৯।বাংলাদেশ রয়েছে ৮০ নম্বরে।

তালিকার প্রথম কুড়িতে জায়গা হয়নি আমেরিকার ।ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগের ২৫ নম্বর স্থানে রয়েছে আমেরিকা। জার্মানি ও ব্রিটেন যথাক্রমে রয়েছে ১৩ ও ১৪ তম স্থানে। কুড়ি নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স,১৩৫ নম্বরে রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া সবার শেষে অর্থাৎ ১৬৭ নম্বরে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।