রাজ্য

পশ্চিমবাংলাতে সংঘের স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২৮শে জানুয়ারি:–পশ্চিম বাংলা তে সংঘ এর স্কুলে ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে।_মমতা ব্যানার্জি সরকারের পক্ষে বলা হয়েছিল যে রাজ্যে আর এস এস এর স্কুল চালাতে দেওয়া হবে না।। কিন্তু রাজ্য সরকারের কথাই সার।। গত তিন বছরে পশ্চিমবাংলাতে সংঘের স্কুল যেমন বেড়েছে তেমনি পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৩৪% বেড়েছে।।অথচ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন কিছুতেই স্কুল গড়তে দেওয়া হবে না আর এস এস সংগঠনকে।।

রাজ্যসরকারই এই স্কুল গুলোকে অনুমোদন দিচ্ছে।। গত ২০১৭ সালের ৮ই মার্চ সিপিআইএম বিধায়ক মানস মুখার্জি আর এস এস এর স্কুল নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন।। এরও আগে বিধায়ক মানস মুখার্জি বলেছেন আর এস এস পশ্চিমবাংলাতে প্রায় ৩০০ স্কুল চালাচ্ছে।।। তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ তে এই স্কুল গুলোতে পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার এর কাছাকাছি ছিল।। এসব জেনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বরাষ্ট্র দফতরের রিপোর্ট এর কথা বলেন আর আশ্চর্য জনক স্বরাষ্ট্র দফতরের ভার ছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন উত্তরবঙ্গের কিছু অংশ আর উঃ ২৪ পরগনার জেলার কিছু জায়গায় স্কুল গুলো আছে এবং তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে যে বাচ্চা দের পাঠ্যপুস্তক ছাড়া অন্যান্য কি বিষয় পড়ানো হচ্ছে।।এটাও বলা হয়েছে যে যদি কোন সাম্প্রদায়িক বিষয়ে কিছু পড়ানো হয় তবে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।।আজ বোঝা যাচ্ছে তৃনমুল মহাসচিব শুধুমাত্র কথার ফানুস উড়িয়ছেন।। বড় গলা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন ধর্মের ধর্মান্ধতা তৃনমুল সরকার বরদাস্ত করে না।। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এর অভিযোগ ছিল যে বামফ্রন্ট সরকার এর আমলে তাঁরা তাঁদের স্কুল গুলো চালাতে পারতেন না ।।

কিন্তু আজ পালাবদল হয়েছে আর আর এস এস এর স্কুল যেমন বেড়েছে তেমনি পড়ুয়া দের সংখ্যাও বেড়েছে।। সঙ্ঘ পরিচালিত বিবেকানন্দ বিদ্যাবিকাশ পরিষদ এর সম্পাদিকা ঋতা চক্রবর্তী বলেছেন “”সরকার কিছু মামলা দায়ের করেছিল কিন্তু এখন আর কিছু বলে না আর মামলা গুলো নিয়ে নাড়াচাড়াও করে নাআমরা আমাদের কাজ করছি”” তথ্য অনুযায়ী পশ্চিম বাংলা তে সংঘ এর স্কুল আছে ৩১০ টি যার মধ্যে ১৬ টি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ,৭ টি মাধ্যমিক পর্যন্ত আর একাদশ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা ৩ টি।। কিন্তু প্রশ্ন এই হারে স্কুল গুলো বাড়ছে কেন? এই প্রশ্নের উত্তর এ ঋতা চক্রবর্তী বলেছেন , সরকার পরিচালিত স্কুল গুলো থেকে এখানে পড়াশোনার ধরন উৎকৃষ্ট তাই অভিভাবকরা আকৃষ্ট হচ্ছেন”””আর এখন অবধি আমাদের জানা আছে যে মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হবার পর থেকে পশ্চিম বাংলাতে শিক্ষার মান যথেষ্ট নিম্নমুখী।। এখনকার ইতিহাস বইটি দেখলে সেটা প্রমাণ করা যায়।।

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যারা বিভিন্ন আর্থিক ও নানারকম সামাজিক দুষ্কর্মে অভিযুক্ত তাদের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে স্থান দেওয়া হয়েছে।।যার পড়াশোনার ডিগ্রি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে তাকে মহিমান্বিত করে পড়ুয়াদের পড়ানো হচ্ছে।। এই সুযোগ টাই নিচ্ছে সংঘ।। আরও একটি সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে সংঘ আর তা হলো বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে সন্ত্রাস চালিয়ে বামপন্থীদের দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে ।। আবার তৃণমূল কংগ্রেস এর নেতাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক মান অত্যন্ত খারাপ।। ফলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিজেপি নেতা দের কাছে স্কুল খোলা র আবেদন রাখছেন মানুষ।।এক চরম আতংক এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম বাংলা র মানুষ যার জন্য এককথায় দায়ী মমতা ব্যানার্জি সরকার।। নিজস্ব কর্মকাণ্ড নিয়ে মিথ্যাচার করতে গিয়ে পশ্চিম বাংলার সাধারণ মানুষ দের এক চরম বিপাকে ফেলেছেন__খাল কেটে কুমির আনার দায়টা এখন একমাত্র মমতা ব্যানার্জি কেই নিতে হবে।।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।