রাজ্য

রবীন্দ্রভারতী প্রসঙ্গে


দেবু রায়: চিন্তন নিউজ:১২ই মার্চ:–গত কালের পর আজ পুনরায় আলোচনা, আগেকার দিনে যখন পড়াশোনা করা হ’ত. তখন একদিকে যেমন বাড়িতে থাকতো বাবা – মায়ের কড়া শাসন তার সাথে ছিলো কঠোর শৃঙ্খলা , আবার স্কুলেও ছিলো তাই , কিন্তু আজকের দিনে কি প্রত্যেক পরিবারের বাবা মায়েরা কি সেটাকে মেনে চলেন যেটা তারা শিখে ছিলেন ছাত্র অবস্থাতে।দেখা যায়, খুব কম সংখ্যক বাবা – মায়েরা সেটাকে মেনে চলেন , যারা বড়ো হয়েছেন হেমন্ত মুখার্জীর রানার বা গাঁ এর বধূ শুনতে – শুনতে , কিন্তু আজকের দিনের বাচ্চারা বড়ো হচ্ছে ( কৃষ্ণ করলে লীলা / আমরা করলে বিলা ) অর্থাৎ পাগলু ডান্স শুনতে শুনতে। আগের সময়ে গুপী বাঘা অথবা উৎপল দত্তর ঝড় এই জাতীয় সিনেমা ছিল। . কিন্তু আজকের জেনারেশনদের জন্য যে সিনেমা গুলো দেখানো ( কিছু সিনেমা বাদ দিলে ) অধিকাংশ সিনেমার মধ্যেই শুধু সেক্স এর সুড়সুড়ি আর অশালীন কিছু শব্দ মিশিয়ে গান । সিরিয়াল দেখবেন সেখানেও শুধু একে অপরের পিছনে লাগা, চক্রান্ত, হিংসা ছাড়া কোনো গল্প নেই , সুতরাং।সংস্কৃতির এত অবনমন যে সমাজে হয় সেই সমাজে রোদ্দুর রায় হবে না তো , কি আর একটা সত্যজিৎ রায় হবে. এটা কি আশা করা যায় ?.

এই সংস্কৃতিকেই তো গ্রহন করছে, এই সংস্কৃতিকে শিখে বড়ো হচ্ছে আজকের প্রজন্মের বাচ্চারা, কারন তাঁদের সামনে বিকল্প কোনো সংস্কৃতি তুলে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কেন যাচ্ছে না? কারন সেই সস্তার রাজনীতি। পাড়ায় বা কলেজের সোশ্যাল প্রোগ্রাম যেখানেই যান দেখতে পাবেন সেই সস্তা,অগোছালো ভাষার চটুল গান,নাচ, আর তাই তো মালদা অথবা বারাসাতের স্কুলে যখন পড়ুয়ারা গানকে বিকৃত করে তখন অনেক প্রতিবাদ করি বা সমালোচনা করি । ওরা বাচ্চা, ওদের কি সেই ম্যাচুরিটি আছে যে ওরা বুঝতে পারবে কোনটা ভালো কোনটা খারাপ?. দায়ী তো অভিভাবকরা। বলুন তো আমরা কেন সেই সরকারকে দিনের পর দিন সহ্য করবো যারা গদিকে চিরস্থায়ী করার জন্য সুস্থ সংস্কৃতিকে ( যেটা আমাদের সময়ে ছিলো )বিসর্জন দিয়ে ছাত্র সমাজ তথা যুব সমাজকে এত উশৃঙ্খল করে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে এক অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে , কেন নিজেদের ব্যাক্তিগত লাভ – ক্ষতি বজায় রাখার জন্য , বা মোটা আয়কে বজায় রাখার জন্য এই সবকে দিনের পর দিন মেনে যাবো আর সোশ্যাল সাইট এ বসে হায় – হায় করতে করতে বলবো সমাজটা গোল্লায় গেল।.

আমরা কি পারি না সবাই মিলে এই সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন করতে ?. কেন আমরা নিজেরা শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও মিডিয়ার বা কাগজের প্রচার দেখে নিজেদের কে জাহির করি ?. তাঁদের বলে দেওয়া কথায় আমরা সিদ্ধান্ত নিই? সত্যি এই প্রজন্মের বাচ্চারা একেবারে অবাধ্য হয়ে উঠেছে ?. কেন আমরা পারি না নিজেদের কে পরিবর্তন করতে . একটা কথা মাথায় রাখবেন যেদিন আমরা আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারবো সে দিন আমাদের মিডিয়ার জ্ঞানের o প্রয়োজন ও হবে না , আর কোনো বিখ্যাত মনোস্তত্ত্ব বিদের ও ওপিনিয়ন নেবার প্রয়োজন হবে , দেখবেন আমাদের আমাদের সন্তানরা ও আমাদের ছোট বেলার মতো হয়েছে .
( ক্রমশ )


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।