কলমের খোঁচা

স্মরণে মননে সদ্য প্রয়াত ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তের


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৭/০২/২০২২– সত্তরেই থেমে গেল জীবনযুদ্ধ। ১৯৫১ সালে ৩০ শে আগষ্ট খ্যাতনামা ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তের জন্ম হুগলি জেলায়। ফুটবল জীবনে তিনি তিনটি বড় ক্লাবেই খেলেছেন । প্রথম বড়ো ক্লাব মোহনবাগান । প্রথম দু বছর তিনি মোহনবাগানের হয়েই খেলেন পরে লাগাতার ছয় বছর ইষ্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছেন । ১৯৮০ সালে তিনি মহামেডান ক্লাবে সই করেন পরে ফিরে আসেন মোহনবাগানে ।

গত ২৩ শে জানুয়ারী কোভিড এ আক্রান্ত হন এই প্রবাদপ্রতিম খেলোয়াড় । ভর্তি ছিলেন ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তারপর জীবনমরণের দীর্ঘ লড়াই চলে। হাসপাতালে ভর্তি হবার পর কিছুদিন স্থীতিশীল থাকার পর ক্রমশ অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে । প্রবল শ্বাসকষ্ট ও কাশির সমস্যা শুরু হয়। শেষের ক’দিন তিনি ভেন্টিলেশন এ ছিলেন । অবশেষে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৫৪ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রকে।

কিছুদিন আগেই চলে গেছেন সুভাষ ভৌমিক । সেই শোকের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি ফুটবল মহল আর তার মধ্যেই সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়ান। অতীতে অনেক ডিফেন্ডারের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন সুরজিৎ ( বিশুদা) সেনগুপ্ত। খেলতে নেমে গোল করার পর খুব একটা উচ্ছাস প্রকাশ করতেন না । একবার সন্তোষ ট্রফিতে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে গোল করার পর তিনি উচ্ছাসে ফেটে পড়েন এমনকি বার ধরে ঝুলতে থাকেন । তাঁর এই উচ্ছাস নিয়ে সেইসময় বেশ চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। কোরিয়া একাদশের বিরুদ্ধে ফুল ফুটিয়েছিলেন লাল হলুদ জার্সিতে। ফুটবল জীবনের শেষে অনেকেই ফুটবল কোচ হয়েছিলেন কিন্তু সুরজিৎ সেনগুপ্ত সেই পথে হাঁটেন নি । আজ তিনি চলে গেলেন কিন্তু তাঁর অসংখ্য স্মৃতি রয়ে গেল ফুটবল মাঠের সবুজ ঘাসে । মাত্র সত্তরেই শেষ হয়ে গেল তাঁর জীবনদীপ।



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।