কলমের খোঁচা

স্মরণে,মননে, জীবনে জীবনানন্দ


মিতা দত্ত, বিশেষ প্রতিবেদন: চিন্তন নিউজ,: ১৭/০২/২০২৪:- গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা পুরাণের জগৎ যাঁর কাব্যে হয়ে উঠেছিলো চিত্ররূপময় , বুদ্ধদেব বসু যাঁকে নির্জনতম কবি বলেছেন ,অন্নদাশঙ্কর রায় বলেছেন শুদ্ধতম কবি – তিনি জীবনানন্দ দাশ। ১৭ ই ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯ বরিশালে তাঁর জন্ম।পিতা -সদানন্দ দাশ ও মাতা কুসুমকুমারী দাশ।

জীবনানন্দ ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর অধ্যাপনা – বৃত্তি গ্রহন করেন।কিন্তু কাব্য অশ্লীলতার অভিযোগে কলেজ -কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করেন। তারপর রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কাব্যের শ্রেষ্ঠতম কবি জীবিকার সন্ধানে সারাজীবন চটির শুকতলা ক্ষুইয়ে গেছেন।

জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের কিছু প্রভাব থাকলেও অচিরেই সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠে এক নিজস্ব কাব্যভাষা নির্মাণ করেন।তাঁর কাব্য শরীরে মিশে আছে মৃত্যু চেতনা ও ইতিহাস বোধ।” পাখির নীড়ের মতো চোখ “উটের গ্রীবার মত নির্জনতা ” -ইত্যাদি অজস্র অপূর্ব চয়িত উপমা এবং “মহীনের ঘোড়াগুলি জ্যোৎস্নার প্রান্তরে ঘাস খায়”- এর মত পরাবাস্তব চিত্রকল্প রচনায় তিনি রবীন্দ্র পরবর্তী এক মাইলস্টোন হিসেবে বিবেচিত হন।

তিনি নানাবিধ পুরস্কার অর্জন করবেন, এটাই স্বাভাবিক। যদিও শুধু পুরষ্কার দিয়ে তাঁর সৃষ্টির মূল্য নির্ধারণ করা যায় না। তিনি শুধু কবিতা নয়, প্রবন্ধ নিবন্ধ, উপন্যাস ও ছোটোগল্প রচনা করেছেন। তাঁর অনেক লেখা জীবদ্দশায় প্রকাশ পায়নি । চরম দারিদ্র্য ছিলো তাঁর নিত্য সঙ্গী। ১৯৫৪ সালে এক বেরসিক ট্রাম জীবনানন্দ দাশের জীবনকে মথিত করে দিয়ে চলে যায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।