দেশ রাজনৈতিক

সাম্রাজ্যবাদ দূর হঠো


রঘুনাথ ভট্টাচার্য্য:চিন্তন নিউজ:২৫শে ফেব্রুয়ারি:-বিভিন্ন সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশ ,দিল্লিতে যখন পাশবিক হিংসায় উন্মত্ত দুর্বৃত্তরা সুরক্ষাবলয়ের আশ্রয়ে থেকে সিএএ প্রতিবাদীদের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালাচ্ছে, আর তার প্রতিবাদে গর্জে উঠছে ঐক‍্যবদ্ধ জনতা, কলকাতা সেই সময়ে সোচ্চার মার্কিন সু্যোগসন্ধানী মেকি বন্ধুত্ত্বের
ছলনার স্বরূপ উদ্ঘাটনে।

কলকাতার মার্কিন প্রচার দপ্তরের সামনে সরকারি
পুলিশের চোখের উপর পোড়ানো হল সাম্রাজ্যবাদের
প্রতীক মার্কিন প্রেসিডেন্টের​ কুশপুত্তলিকা। আওয়াজ উঠলো,’ ফিরে যাও ট্রাম্প,তোমার স্বার্থ ভারতের স্বার্থ
নয়, তোমার সফর ভারতের সাধারণ গরিব মানুষের জন‍্য নয় ‘। বামপন্থী ছাত্র ও যুবদের মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের হুঁশিয়ারি মিলিয়ে জন-আন্দোলনের রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

শ্রমিক-মিছিলে যোগ দিয়ে সিপিএম নেতৃত্ব দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, সারা বিশ্বেই ফ‍্যাসিবাদী শক্তিগুলি মার্কিনী প্রতিক্রিয়াশীল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর মদতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারতেও শাসকদল সেই পথ অনুসরণ করে চলেছে। দেশ তথা দেশের মানুষের​ স্বার্থ আজ বিপন্ন। এই বিপদ ক্রমবর্ধমান। দেশের অর্থনীতি স্বার্থান্বেষী দখলদারদের অধিকারে চলে যাচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে সবরকম ব‍্যবস্থা নিতে হবে।

ট্রাম্প – মোদী দক্ষিণপন্থী জোটের জনস্বার্থবিরোধী
সক্রিয়তার বিরুদ্ধে পথে শামিল হয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, ফেডারেশন ও মহিলা সংগঠনের সদস‍্যরা। শামিল ছিলেন ব‍্যাঙ্ক,বিমা,বিএস এন এল-এর কর্মীবৃন্দ,ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থাসহ নানা গণ-সংগঠন। এস এফ আই, ডিওয়াইএফআই, বিভিন্ন বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন, সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সংগঠন সহ বিভিন্ন বামপন্থী মহিলা সংগঠন এই প্রতিবাদ মিছিলে​যোগ দেন। প্লাকার্ডে স্লোগানে আওয়াজ উঠেছে ‘ভারতবাসী চাকরী চায়,খাদ‍্য চায়, মার্কিন মারণাস্ত্র নয়,’ ‘ ট্রাম্প, লাতিন আমেরিকা থেকে হাত ওঠাও’ কোটি কোটি টাকা খরচ করে ট্রাম্প- ভজনার দরকার কী ?’,ইত‍্যাদি।

বিকেল ৫ টায় সব মিছিল এসে জমায়েৎ হয় ধর্মতলায়
লেনিন মূর্তির তলায়। তাঁর আগে, পার্ক স্ট্রীটের কিছু আগেই পুলিশ ব‍্যারিকেড করে মিছিল আটকাতে চেষ্টা করে, কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব‍্যর্থ হয় বরং আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

সংবাদ মাধ‍্যমে প্রকাশ,সিপিএম রাজ‍্যসম্পাদক সূর্যমিশ্র মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন,সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ ভাল নেই।ফ‍্যাসিবাদী শক্তিগুলি মানুষ​কে ভাল থাকতে দিচ্ছে না। ট্রাম্পদের থেকেই তারা এই মদত পাচ্ছে।মূল উদ্দেশ্য একটাই : বিশ্বের বাজারের উপর দখল ও নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা। সেই উদ্দেশ্যেই এই ‘ সফর ‘। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকার এই দখলদারীতে
সাহায‍্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে
এক ঘৃণিত ধান্ধার রাজনীতি কায়েম করেছে ট্রাম্প।আর তার তোষামোদে সদাব‍্যস্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুতরাং, এই সফরের প্রতিবাদ হচ্ছে, হবে।

প্রসঙ্গত​ উল্লেখ করা হয় বলে খবরে প্রকাশ যে, এই রাজ‍্যের
মুখ‍্যমন্ত্রী এই প্রতিবাদ মিছিল আটকাতে সরকারী যন্ত্রকে ব‍্যবহার করছেন অবাধে।অবশ‍্য, নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন যে, এই জঘণ‍্য স্বৈরাচারী ব‍্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। বিশ্বের বহু দেশ ধীরে ধীরে এই ফ‍্যাসিস্ত দমননীতির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে।আগামী দিনে তীব্রতর আন্দোলনে এই ফ‍্যাসিস্ত শক্তি পরাস্ত হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।