রাজ্য

রাতের অন্ধকারে ভরাট করা হচ্ছে জলাজমি


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২৫শে ফেব্রুয়ারি:-প্রতিরাতে চলছে জলাশয় ভরাট__প্রতি রাতে মাটি আবর্জনা ফেলে বেআইনি ভাবে চলছে জলাশয় ভরাটের কাজ।। এসব দেখেও নির্বিকার প্রশাসন।। অভিযোগ তপসিয়া রোডে ৬৬ নং ওয়ার্ড এর তৃনমুল কাউন্সিলর ফৈয়াজ খানের বিরুদ্ধে।। প্রায় ৯ বিঘা জলাশয় এর অর্ধেকের বেশী ভরাট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।। চিঠিপত্র দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী,মেয়র এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে সব জায়গায় জানানো হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা এবং আন্দোলনকারীরা।। সবাইকে জানানো স্বত্বেও প্রতিরাতে লরি লরি মাটি, নোংরা আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে জলাশয়টি।।

স্থানীয়দের অভিযোগের উত্তরে তৃনমুল কাউন্সিলর ফৈয়াজ খান বলেছেন পুকুর ভরাটে তাঁর কোন ভূমিকা নেই।। তিলজলা থানা এলাকায় সানি পার্কে ৯ বিঘার জলাশয়টি তৃনমুল পরিচালিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বুজিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছিল।। অল্প অল্প করে বোজানোর কাজ চলছিলো।। স্থানীয় মানুষের প্রচন্ড আপত্তি ছিল জলাশয় ভরাট এর ব্যাপারে।। তাঁরা স্বতপ্রণোদিত হয়ে স ই সংগ্রহ করে তিলজলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।। জলাশয় ভরাট হচ্ছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দেয় পশ্চিমবঙ্গ বিঙ্গান মঞ্চ।। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকেও তিলজলা থানায় চিঠি দেওয়া হয়।। এরপর থানা থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর কিছুদিন ভরাটের কাজ বন্ধ ছিল।

আবার পুরোদমে ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু প্রশাসন বোবার ভূমিকা পালন করছে।। শাসক দলের নেতাকর্মীদের হুমকির মুখে পড়া স্বত্বেও স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে চাইছেন এবং তাঁরা জানাচ্ছেন এই কাজে তৃণমূল কাউন্সিলর ফৈয়াজ খান এর সরাসরি মদত রয়েছে।। এখন মেয়র, মুখ্যমন্ত্রী, দূষণ পর্ষদ সকলকে বলার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাইছে না।। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও মেয়র সবসময়ই জানিয়েছেন যে শহরের কোথাও জলাশয় ভরাট করা হবে না।। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর কথা অমান্য করে প্রতি রাতেই চলছে জলাশয় ভরাট এর কাজ আর কোন অজানা কারণে পুলিশ পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে।। এই ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে গেল এইযে দলনেত্রী আর নেতাকর্মীদের বেআইনি কাজে কোন লাগাম টানতে পারছেন না।।

কসবা তিলজলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক সাধন অধিকারী জানান যে তাঁরা বেআইনি ভাবে জলাভূমি ভরাট এর কথা সকল কে জানিয়েছেন কিন্তু ভরাট এর কাজ চলছেই।। তাঁদের পরিষ্কার দাবি অবিলম্বে পুলিশ এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক আর জলাশয় আগের অবস্থায় ফিরে আসুক।। ফৈয়াজ খান বলেছেন যে ভোটের মুখে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।। তিনি বলেন যে যারা অভিযোগ করেছেন তাঁরা কেউই তাকে কিছু জানাচ্ছেন না কেন?? ফৈয়াজ খান এর কাছে এই জমিটির দলিলের প্রতিলিপি আছে ।। এই জমি যার তিনি তাকে দিয়েছেন।। জমিটি শালী জমি এবং বেশ নীচু।। বর্ষার সময় জল জমে।। আর ও জানান যার জমি তিনি যদি পাঁচিল দিয়ে উঁচু করেন তবে কাউন্সিলর হিসেবে তার কিছু করার নেই।।। তবে পুকুর ভরাট নিয়ে যে অভিযোগ তা নাকি অবাস্তব।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।