চৈতালী নন্দী: চিন্তন নিউজ:২৫শে ফেব্রুয়ারি:–সব বিরোধীদের এক মঞ্চে ডাক দিচ্ছেন বামপন্থী ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার।
বিধানসভা ভোটের আগে বিহারের ৩৮ টা জেলা চষে ফেলছেন বামপন্থী ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার। মহল্লা থেকে মহল্লা, শহর থেকে গ্রাম যেখানেই তিনি যাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে পা মেলাচ্ছেন হাজার হাজার জনতা। স্লোগানে, ছন্দে গলা মেলাচ্ছে ছাত্রযুব থেকে সাধারণ মানুষ। ভিডিও ফুটেজে মাথা তুলছে অগণিত মানুষের ঢল।
সিএএ, এন আর সি, এবং এনপিআর-এর বিরুদ্ধে গোটা বিহার জুড়ে তাঁর এই ‘জন গণ মন’ যাত্রা শুরু হয়েছিল
৩০শে জানুয়ারি চম্পারনণের বাপুধাম থেকে। এই যাত্রা শেষ হবে পাটনার গান্ধী ময়দানে এক ঐতিহাসিক জমায়েতের মাধ্যমে। বোঝা যাচ্ছে সমগ্র দেশ জুড়ে বাড়ছে বামপন্থীদের গ্রহণযোগ্যতা। কানহাইয়ার রোড শো-তে বাঁধভাঙা জনজোয়ারই প্রমাণ করে মানুষ রয়েছে বামপন্থীদের সঙ্গে। কংগ্রেস নেতা বিধায়ক শাকিল আহমেদ সঙ্গে থাকলেও এই রোড শো এই জনপ্রিয়তা একান্ত ভাবেই কানহাইয়ার। আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি পাটনার গান্ধী ময়দানে ‘দেশ বাঁচাও ,নাগরিকতা বাঁচাও’ সমাবেশ যে নজিরবিহীন হবে তা মনে করছে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহল।
বিহারের সিপিআই নেত্রী তথা দলের জাতীয় পরিষদের সদস্য নিবেদিতা ঝা বলেন যে, এই সমাবেশে বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ই আমন্ত্রণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যে এদেরই সঙ্গে রয়েছে তা বুঝতে পেরে প্রতিটি পদযাত্রা ও সমাবেশে বিজেপির সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছেন।কয়েকবার গুরুতর আক্রান্ত হয়েছেন কানহাইয়া কুমার অথবা তার কনভয়। ক্রমেই বিহারের বিরোধী রাজনীতির একমাত্র মুখ হয়ে উঠছেন কানহাইয়া। আরজেডির লালু ও পুত্র তেজস্বীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কি হবে তার উপরে নির্ভর করছে মহাজোটের ভবিষ্যৎ।
কানহাইয়া জানিয়েছেন, এই ‘জনগনমন’ যাত্রা
শুধুমাত্র ভোটের জন্যে নয়, একটা অন্যায় আইনের বিরুদ্ধে; শুধুমাত্র মুসলিমরা নয়, সমাজের সব অংশকে নিয়েই এই লড়াই। ক্রমেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক লড়াইয়ের মুখ হয়ে উঠছেন কানহাইয়া কুমার।