বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

লাল বর্ণ ধারণ করছে এন্টার্কটিকার বরফ


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ, ২৯ ফেব্রুয়ারি: চারিদিকে বিস্তৃত দুধসাদা বরফের ওপর লাল চাপ চাপ রক্তের মতন ছোপের দৃশ্য এন্টার্কটিক জুড়ে। এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের নানান সংবাদ মাধ্যমে। এতদিনের চেনা দৃশ্য ছিলো এই হিমমহাদেশের জমা বরফের গা থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে নিলাভ দ্যুতি। কিন্তু এই লালিমাময় বরফের দৃশ্যে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে – তবে কি এটা একখন্ড মঙ্গলগ্রহের রূপ নিচ্ছে?

ক্রমবর্ধমান এই কৌতুহলের উত্তর মেটানোর জন্য গবেষণা রত ইউক্রেনের বিজ্ঞান মন্ত্রক। সেখান থেকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, প্রাক্তন ব্রিটিশ গবেষণাগারের চারপাশের তুষার ক্রমশ লাল হয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের বিজ্ঞান মন্ত্রক জানাচ্ছে, এই লাল হওয়ার কারণ মাইক্রোস্কোপিক এলগি বা শ্যাওলা। হিমশীতল তাপমাত্রাতেও এরা বেঁচে থাকতে পারে। যদিও পরিবেশবিদদের কপালে ভাঁজ, বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্যই কি এমনটা?

ইউক্রেনের বিজ্ঞান মন্ত্রক জানাচ্ছে এন্টার্কটিকায় গ্রীষ্মের মাসগুলিতে অনূকূল পরিবেশই এই শ্যাওলার জন্মের মূল কারণ। তাদের মতে লালবর্ণের জন্য তুষারে কম সূর্যের আলোর প্রতিফলনের জন্য দ্রুত বরফ গলে ও শ্যাওলাকে আরো উজ্জ্বল দেখায়। ক্লামিডোমেলস নিভালিস নামে এই শ্যাওলার কোষেতে একটি লাল ক্যারোটিন স্তর থাকে এবং শ্যাওলাকে অতি বেগুনি বিকিরণের হাত থেকে রক্ষা করে। সেই সাথে তুষারে লাল রং সৃষ্টি হয়। এর কারণেই তুষার কম সূর্যের আলো প্রতিফলন করে ও দ্রুত গলে যায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।