রাজ্য

মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, রেশন না পেয়ে বিক্ষোভ- শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি


মিঠুন ভট্টাচার্য:চিন্তন নিউজ:১৬ করোনা নামক এই মহামারীর সময় যখন সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে প্রত্যেক নাগরিক পর্যাপ্ত রেশন পাবে ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শিলিগুড়ি লাগোয় গ্রাম পঞ্চায়েত ফুলবাড়ী ১ এবং ফুলবাড়ী ২ এলাকায় রেশন সাধারণ মানুষের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে , ফুলবাড়ী এক অঞ্চল তৃণমূল শাসিত এখানকার স্থানীয় মানুষের অভিযোগ যেসব জায়গাযম পঞ্চায়েত সদস্যরা রয়েছে সেখানে তৃণমূল দলের লোকেদেরকে দিয়ে রেশনের কুপন বন্টন করাচ্ছে যার দরুন তৃণমূল পরিবার ছাড়া অন্য কেউ রেশনের সুবিধা পাচ্ছে না।

আবার কিছু এলাকায় মানুষের অভিযোগ কিংবা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ রেশন বন্টনের ক্ষেত্রে অঞ্চল প্রধান কোন বৈষম্য না করলেও বিজেপি শাসিত বুথগুলোতে রেশনের চাল তথা অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে হজম করে দেওয়া হয়েছে , একই অভিযোগ রয়েছে ফুলবাড়ী ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষেত্রেও , পুটিমারি এলাকার একটি চা বাগানে গিয়ে জানা যায় ওই এলাকায় বেশকিছু আদিবাসী চা শ্রমিক থাকলেও তারাও পর্যাপ্ত রেশন সামগ্রী পাচ্ছে না , এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কার্যত শাসকদল দেখাচ্ছে বিরোধীদলকে বিরোধীরা আঙুল তুলছে শাসক দলের দিকে আবার অনেক সময় অভিযোগকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে রেশন ডিলারের দিকে।

এই অঞ্চলগুলিতে সিপিএম তথা বামপন্থীরা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পরে সেই রকম কোনো নাগরিকদের নিয়ে মঞ্চ তৈরি করতে না পারার দরুন সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে , কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনজিও প্রভৃতি এই সময় রাস্তায় নেমে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে দিলে অনেক মানুষকেই অভুক্ত অবস্থাতে দিনযাপন করতে হতো এ নিয়ে কোন সংশয় নেই , অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ যাই হোক না কেন একদিকে তৃণমূলের স্বৈরাচারীতা আরেকদিকে বিজেপির সাম্প্রদায়িকতা এই দুইয়ের যাঁতাকলে পড়ে ফুলবাড়ী ১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শিলিগুড়ির সংবাদদাতার পক্ষ থেকে ফুলবাড়ী এক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলী প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি প্রতিক্রিয়া দেননি বিজেপির বিরোধী দলনেতা তথা মন্ডল সভাপতিও।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।