রাজ্য

কেমন আছে মৌসুনী


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ৪ঠা জুন:- পর্যটন মানচিত্রে একটি পরিচিত নাম মৌসুনী দ্বীপ। দক্ষিণ২৪পরগনার একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এই দ্বীপ, বঙ্গোপসাগর যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। নিকটতম বীচ বালিয়াড়া। ম্যানগ্ৰোভ অরণ্যে ঘেরা নির্জন সৈকতে স্থানীয় অধিবাসীরা ব্যস্ত থাকেন মাছ ধরায়, এটাই ওঁদের অন্যতম জীবিকা। লাল কাঁকড়ার ভীড়ে, পাখিদের কলতানে মুখর মৌসুনী।কিন্তু সুপার সাইক্লোন আমফানের পরে কেমন আছে মৌসুনী দ্বীপ কিংবা সেখানকার বাসিন্দারা?

২০শে মে, ২০২৯, আম্ফান ঝড়ে বিধ্বস্ত মৌসুনী। বালিয়াড়া মৌজার ৭০%, বাগডাঙার ১০%, মৌসুনীর প্রথম খন্ড ২৫% জায়গা নোনা জলে প্লাবিত ।প্রায় ৪৫০০ বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত । ৮০০ পানের বরজ ভেঙেচুরে সম্পূর্ণ নষ্ট।
প্রায় ৬ কিলোমিটার নদী বাঁধ ওয়াশ আউট । অধিকাংশ পুকুরের মাছ ও সব্জি প্রায় শেষের দিকে। প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে ও ঝড় বাহিত নোনা জলে সমস্ত গাছ বিবর্ণ ।বিদ্যুৎ সংযোগের নদী পারাপারের একটি টাওয়ার ভেঙে মৌসুনী সম্পূর্ণ অন্ধকারে । অভ্যন্তরে প্রায় ২৫০ টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে ।

নদীর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ কবির বিচরণভূমি কবিতায় ভালো লাগলেও এখানকার মানুষের কাছে তা আতঙ্কের। ২০০৯ এর আইলার পর থেকে নদীবাঁধ মেরামত হয়নি ঠিকমতো, বাঁধ নির্মাণের টাকা গেছে ঠিকাদার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের পকেটে। প্রশাসনের ওপর নির্ভর করে আছে পরিবারগুলো। সেখানেও দলবাজি, প্রয়োজনীয় ত্রিপলটুকুও জোটেনি অনেকের ভাগ্যে। ত্রাণশিবিরগুলো, স্কুলবাড়ি এখনও ভরসা। প্রশাসনের কাছে ডেপুটেশন, প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে স্থানীয় সি পি আই (এম) নেতা কর্মীদের উদ্যোগে। এখন অপেক্ষা সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সরকারি সাহায্য কতটুকু পৌঁছায় এই গরীব মানুষগুলোর একাউন্টে, কতদিন পরে আবার চেনা ছন্দ ফিরে পায় প্রিয় মৌসুনী!


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।