রাজ্য

জলঙ্গীর সাহেবনগরে CAA বিরোধী আন্দোলনে গুলি, মৃত্যু ২, আহত অনেক।


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:২৯শে জানুয়ারি:-মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর সাহেবনগরে CAA নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুলি বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ২ জনের আহত অনেকে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ জলঙ্গী ব্লক তৃনমূল উত্তর জোনের সভাপতি তহিরুদ্দিন মন্ডলের দিকে। একাধিক প্রতিবাদী নিহত ও আহত।

প্রায় দশদিন ধরে সিএএ বিরোধী অবস্থান, বিক্ষোভ চলছিল জলঙ্গীর সাহেবনগরে। আজ এই ইস্যুতে আন্দোলনকারী নাগরিক সমিতি এলাকায় বনধ ডেকেছিলেন। সেই বনধ রুখতে তৃণমূল বাহিনী সকাল থেকেই নেমে পড়ে।

স্থানীয় মানুষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। কোন রাজনৈতিক দলের পতাকার তলায় নয়, সম্পূর্ণভাবে জলঙ্গী নাগরিক কমিটি নামে এলাকার সাধারণ মানুষ এই বিক্ষোভে সামিল হন।সেখানে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ,মোয়াজ্জেম শেখ, আনারুল বিশ্বাস, আর সানাউল্লাহ শেখ নামে বিক্ষোভকারীরা। আহত আর‌ও অনেকে। আহতদের প্রথমে ডোমকল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

মমতা ব্যানার্জির দ্বিচারিতার মুখোশ টা ক্রমশ ছিঁড়ে যাচ্ছে বলে এলাকার মানুষের মত। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ নদীয়ার সভায় বলেন “সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করে কুকুরের মত মারা উচিৎ”। সেই বক্তব্য কার্যকর করছে কখন‌ও মমতা ব্যানার্জি সরকারের পুলিশ আবার কখন‌ও তৃণমূলের দুস্কৃতি বাহিনী। এলাকার মানুষের মনে এই নিয়ে নানান প্রশ্ন।

এলাকায় এখন‌ও আতঙ্ক, উত্তেজনা। বনধ সমর্থনকারীদের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় পুলিশে ছেয়ে রয়েছে। গণতন্ত্র প্রশ্নের মুখে।

এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, অবিলম্বে এলাকায় শান্তি ফেরাতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কিভাবে গুলি চলে তার উত্তর রাজ্যসরকারকে দিতে হবে। মুর্শিদাবাদ জেলা এমনিতেই স্পর্শকাতর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেন দাঙ্গা না বাঁধে তাও রাজ্যসরকারকে দায়িত্ব সহকারে দেখতে হবে।এখন সরকার কি ভূমিকা নেন সেদিকেই তাকিয়ে এলাকার মানুষ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।