জেলা রাজ্য

হুগলি জেলার খবর


জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়: চিন্তন নিউজ:৮ই জুলাই:- সি পি আই এম কোতরং-হিন্দমোটর এরিয়া কমিটি ও সি আই টি ইউ অনুমোদিত হিন্দুস্তান মোটরস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে ৭ জুলাই হিন্দমোটর রেল স্টেশন এর পাশে বিদ্যাসাগর বাজার এলাকায় হিন্দমোটর কারখানার ৪ জন শ্রমিক শহিদ কে স্মরণ করে সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য ১৯৭৩ সালে তদানীন্তন কংগ্রেস সরকারের পুলিশের গুলিতে নিহত হন হিন্দমোটর কারখানার ৪ জন শ্রমিক। কারখানার সকালের শিফট এর ছুটির পর দুপুর ২ টায় শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার জন্য হিন্দমোটর স্টেশন এ ভীড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় মহিলা দের সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন কারখানার ৪ জন শ্রমিক। সেই সময় রাজ্যে ছিল চালের সংকট। রেশনিং এলাকায় খোলা বাজারে চাল বিক্রি ছিল নিষিদ্ধ। গরিব বাস্তুহারা ঘরের মা বোনেরা গ্রাম থেকে লুকিয়ে চাল এনে শহরের বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এইসব মহিলাদের থেকে পুলিশ জোর করে চাল কেড়ে নিতে ও অশালীন আচরণ করছিল হিন্দমোটর স্টেশনে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে কারখানার শ্রমিকরা। তাদেরকে দমন করতে পুলিশ গুলি চালায় এবং চার জন শ্রমিক নিহত হন। পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তারাপদ মন্ডল, পুরুষোত্তম সাউ,এনায়েত বসির ও দিলীপ লাহা। এই ঘটনার পর সাথে সাথে হিন্দমোটর কারখানার শ্রমিকরা সেদিন ধর্মঘট করেন। পরের দিন উত্তরপাড়া থানা এলাকায় ধর্মঘট পালিত হয়। কয়েক দিন পর সি পি আই এম হুগলী জেলায় সাধারণ ধর্মঘট এবং ১৯৭৩ সালের ২৭ জুলাই সি পি আই এম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সাধারণ ধর্মঘট ও হরতাল এর ডাক দেয়। ১৯৭২ সালে জালিয়াতি করে বিধানসভা দখলের পর এই ঘটনা রাজ্যের গণআন্দোলন মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ১৯৭৪ সালের ৭ জুলাই হিন্দমোটর কারখানার চার জন শ্রমিক শহিদের স্মৃতি বেদী উদ্ধোধন করতে আসেন সি পি আই এম নেতা প্রয়াত জ্যোতি বসু। সেই সময় থেকে প্রতি বছর সি পি আই এম এবং সি আই টি ইউ যৌথ ভাবে ৭ জুলাই হিন্দমোটর কারখানার শ্রমিক শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এই বছর স্মরণ সভায় শহীদ বেদীর সামনে রক্ত পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন সি পি আই এম নেতা কমরেড জয়দেব চ্যাটার্জী, কমরেড জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, সি আই টি ইউ নেতা মনীন্দ্র চক্রবর্তী ও সভার সভাপতি দেবীপ্রসাদ বসুরায়।বক্তারা বলেন বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একটা পর একটা জনবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর প্রতিবাদে মানুষের প্রতিবাদও বাড়ছে। আন্দোলন সংগ্রাম এর মাধ্যমেই শহীদদের স্মৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায় বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।

আরামবাগ থেকে জাকির মহম্মদ জানাচ্ছেন যে , ওখানকার তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অধিবাসী বৃন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এর কাছে নিম্নলিখিত দাবী পত্র পেশ করেন দাবীগুলো ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে। পরিযাযী শ্রমিকদের জবকার্ড চালু করতে হবে। পঞ্চায়েতকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক তালিকা প্রকাশ ও যারা অনৈতিকভাবে টাকা নিয়েছে তাদের থেকে তা ফেরৎ নেওয়া। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত দের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ।
অঞ্চলের ভেঙে যাওয়া রাস্তাঘাট সারানো ইন্দিরা আবাস যোজনার কাটমানির টাকা ফেরত দিতে হবে।

হুগলি জেলার চাঁপাডাঙা থেকে সংবাদ সংগ্রাহক সায়ঙ্ক মন্ডল জানিয়েছেন আজ চাঁপা ডাঙা পঞ্চায়েত এলাকায় আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত দের ক্ষতিপূরণের তালিকা প্রকাশ করা ও অডিট করার দাবীতে হুগলি জেলার বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ডেপুটেশন দেন এবং পরিষ্কার বলেন অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত দের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না হলে আন্দোলন এর পথে যাবেন।

শ্রীরামপুর থেকে রিপোর্টার সায়ঙ্ক মন্ডল জানিয়েছেন শ্রীরামপুর এর এক তরুণ সম্পূর্ণ ভাবে নিজের প্রচেষ্টায় এই লকডাউন পরিস্থিতি তে মোট ১০০ টি পরিবার কে সাহায্য করলো।। শ্রীরামপুর এর গোস্বামী পাড়াতে তার বাড়ী।। ছোটবেলা থেকেই বামপন্থী পরিবারের সদস্য।।তাঁর নাম কৌস্তভ সাহা এবং সে এখন পদার্থ বিজ্ঞান এর শিক্ষক। ছাত্র ও যুব ফেডারেশন এর সঙ্গে জড়িত কৌস্তভ লকডাউন এর প্রথম থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে । তারই ফলস্বরূপ এই পর্যন্ত সে ১০০ টি পরিবারকে সাহায্য করতে পেরেছে।। ভবিষ্যতেও এইভাবে মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর মা ও বাবা চান কৌস্তভ যেন চিরকাল এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর থেকে সংবাদ সংগ্রাহক সায়ঙ্ক মন্ডল জানিয়েছেন আমফান ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দের ক্ষতিপূরণ এর দাবীতেও রেশন দূর্নীতি বন্ধ করার দাবীতে বাম ও কংগ্রেস এর যৌথ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।। সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ও যুব নেতৃবৃন্দ এবং সন্দীপন তালুকদার সহ বহু নেতৃত্ব।।

আরামবাগ থেকে সংবাদ সংগ্রাহক কৌশিক মালিক জানাচ্ছেন যে ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক দূর্নীতির বিরুদ্ধে আরামবাগ এর মাধবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সারা ভারত কৃষক সভার ডাকে ডেপুটেশন দেওয়া হলো।। হুগলি জেলার সংবাদ সংগ্রাহক সায়ঙ্ক মন্ডল জানিয়েছেন দেশবিরোধী, জনবিরোধী ও রাজ্য সরকার এর নীতি সমূহের বিরুদ্ধে আজ হুগলি জেলায় এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড গুরুদাস ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন বাম কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।