জেলা

পূর্ব বর্ধমান জেলার খবর


চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত : ১৪ অক্টোবর – রেল দপ্তরের সিদ্ধান্ত হয় বর্ধমান শহরের ঐতিহ্যশালী গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে ওভারব্রীজ ভাঙ্গার।এই খবর পাওয়ার পর থেকেই বর্ধমান শহরের লোকো, খালাসীপাড়া, বাজিপ্রতাপপুর, দুবরাজ, ডাঙ্গাপাড়া, নেরোদিঘী সহ আসে পাশের একালার মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ হতাশ। এই পরিস্থিতিতে এই সব এলাকার মানুষের সাথে আলোচনা করা কি ভাবে এই ব্রীজ ভাঙ্গা আটকানো যায়। গত কিছু দিন ধরে মানুষের জনমত গড়ে তোলার জন্য প্রচার শুরু হয়। বাড়ি বাড়ি হ্যান্ডবিল দেওয়া হয়, কাগজের পোষ্টার এলাকা ছেয়ে দেওয়া হয়। মানুষের এই ক্ষোভ দেখে রেল কর্তৃপক্ষ কিছুটা নড়ে চড়ে বসে। পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমে জানা যায় রেল প্রশাসন ঐ ওভারব্রীজ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের ন্যায্য দাবি ওভারব্রীজ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত স্থগিত নয় , পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। এই দাবিতে আজ সি পি আই (এম) বর্ধমান শহর ও সদর এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে বর্ধমান স্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচী ও স্টেশন ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচী বক্তব্য রাখেন এরিয়া কমিটির সদস্য অরিন্দম মৌলিক, প্রশান্ত দাসচৌধুরী ও তরুণ রায়। নেতৃত্ব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এই ওভারব্রীজ বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র। ওভারব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে রুটিরুজির জন্য। এই ব্রীজ যদি ভেঙে ফেলা হয় তাহলে অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ চরম দুর্ভোগের স্বীকার হবে। ওভারব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় অনেক শ্রমজীবী মানুষ যাঁরা ছোট খাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে , তারা অসহায় হয়ে পরবে। তাই এই ব্রীজ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাতিল করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে, কোনো রকম উচ্ছেদ করা যাবে না। এই বিক্ষোভ সভা থেকে দাবি তোলা হয়, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলে সমস্ত রেল হকারকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে হকারী করতে দিতে হবে। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের মোদী সরকার একটার পর একটা জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, রেল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে – এর বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়। আজকের এই বিক্ষোভ সভায় পার্টির জেলা নেতৃত্ব তাপস সরকার, অপূর্ব চ্যাটার্জী, নজরুল ইসলাম, মেহেবুব মণ্ডল সহ বর্ধমান শহরের অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ ,সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষে স্টেশন থেকে মিছিল হয়।

পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বানে– বিকল্প কাজ, সরকারী সহযোগিতার দাবিতে, কাটোয়া মহকুমা শাসক দপ্তরে জমায়েতকরা হয় ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

আজ মেমারী ২ বামপন্থী যুব সংগঠনের বড়পলাশন ১,২ এবং মাঝেরগ্রাম ইউনিটের উদ্যোগে শহীদ শিবশঙ্কর সেবা সমিতি, রশ্মি ব্লাড ব্যাঙ্ক এর সহায়তায়, বড়পলাশনে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো। পতাকা উত্তোলন ও মাল্যদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়, পতাকা উত্তোলন করেন যুব’র মেমারী-২ আঞ্চলিক কমিটির সভানেত্রী সুমিত্রা ধারা। উদ্বোধন করেন গণআন্দোলনের নেতৃত্ব ও প্রাক্তন যুব নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গনআন্দোলনের নেতৃত্ব অশেষ কোনার, তাপস বসু, যুব নেতা সাফাৎ মন্ডল এবং তিনটি ইউনিটের অসংখ্য সমর্থক, দরদী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
৬ জন মহিলা সহ ৫০ জনের রক্ত নেয়, ১ জন মহিলা সহ ১০ জন ফিরে গেছেন ৫০ জন হয়ে যাওয়ায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।