কিংশুক ভট্টাচার্য্য: চিন্তন নিউজ:৯ই জুন:- ঘরেফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টান্টিনের সময়কালে থাকা ও খাওয়ার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে, আম্ফান সামুদ্রিক ঝড়ে রাজ্যের ক্ষতিকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করতে হবে প্রভৃতি দাবীতে ধারাবাহিক ভাবে সিপিআই(এম)এর কর্মসূচী চলছে।
৮ই জুন ২০২০ সকাল ১১টায় বাঁকুড়া ১নং ব্লকের কেঞ্জাকুড়ায় সিপিআই(এম)’এর বিক্ষোভ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঘরেফেরা প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিকের কোয়ারেনটাইন এ থাকার সময়কালে থাকা খাওয়ার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে রাজ্যের ক্ষতিকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করতে হবে,মনরেগা( MNREGA’)তে কাজ বছরে ১০০ দিন থেকে বাড়িয়ে ২০০ দিন করতে হবে এবং দৈনিক ৩০০/- টাকা করে মজুরী দিতে হবে, আয়কর দেননা এমন প্রতিটি পরিবারের একাউন্টে সরকারকে আগামী তিন মাস প্রতি মাসে ৭৫০০/- টাকা করে ট্রান্সফার করতে হবে, প্রতিটি গরীব মানুষকে আগামী ছমাস রেশনের মাধ্যমে বিনামূল্যে মাসে ১০কেজি করে চাল দিতে হবে, মালিকদের স্বার্থে শ্রম আইন পাল্টে দেওয়া চলবে না, শ্রমিকদের কাজের ঘন্টা ৮ থেকে বাড়িয়ে ১২ করা চলবে না প্রভৃতি দাবীতে সিপিআই(এম), বাঁকুড়া দক্ষিণ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে একটি মিছিল আজ সকালে কেঞ্জাকুড়া বাজার পরিক্রমা করে – মিছিল শেষে কেঞ্জাকুড়া বাসষ্ট্যান্ডের সামনে একটি বিক্ষোভ সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) নেতা প্রতীপ মুখার্জী ও সিআইটিইউ নেতা উজ্জ্বল সরকার – উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম)’এর এরিয়া কমিটি নেতা মোহন ধবল, বিনোদ বাস্কে, প্রহ্লাদ মুখার্জী, কৃপাসিন্ধু কর , সুভাষ দত্ত প্রমুখ। বক্তারা দেশে মোদী সরকারের অপরকল্পিত লকডাউন ঘোষণার ফলে দেশ তথা রাজ্যের গরীব মানুষদের জীবনে যে অকল্পনীয় দুঃখ দুর্দশা নেমে এসেছে তা তুলে ধরেন। – পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফেরার পর তাদের যে অবর্ণনীয় অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাও তুলে ধরেন। সভাশেষে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে অর্থসংগ্রহ অভিযানও চালানো হয় – বাজার এলাকার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী ও মানুষজনদের কাছ থেকে ২৬৭৩/- টাকা সংগৃহীত হয়।
একইসাথে বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়ায় একই কর্মসূচী পালন করা হয়। এখানে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম)এর বড়জোড়া এরিয়া সম্পাদক তথা জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরি ও বিধায়ক তথা জেলা কমিটির সদস্য সুজিত চক্রবর্তী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উভয় স্থানের কর্মসূচীগুলির প্রত্যেকটিতেই শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মসূচী চলাকালিন কর্মীদের উৎসাহ ঊদ্দীপনা ও দৃঢ় মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বিশেষভাবে উল্লেখ করার দাবী রাখে।